গত জুনের পর আরও একবার পেনাল্টিতে ফ্রান্সকে কাঁদালো জার্মানি। জুনেই অনূর্ধ্ব-১৭ ইউরোর ফাইনালে পেনাল্টি শ্যুটআউটে ফরাসিদের পরাজিত করে জার্মান তরুণরা। একই গল্প দেখা গেল ইন্দোনেশিয়ার অনূর্ধব-১৭ বিশ্বকাপেও। ২-২ গোলে ড্রয়ের পর পেনাল্টিতে ৪-৩ ব্যবধানে ফ্রান্সকে হারিয়ে ছোটদের বিশ্বকাপ জয় করলো জার্মানি। 

সুরাকার্তায় অনুষ্ঠিত এই ফাইনালে আরও একবার জার্মানির নায়ক হলেন গোলরক্ষক কনস্ট্যান্টিন হেইডি। দীর্ঘদেহী এই গোলরক্ষক আর্জেন্টিনার বিপক্ষেও শ্যুটআউটে নায়ক হয়েছিলেন। ফাইনালেও দুই পেনাল্টি ঠেকিয়ে নায়ক বনে গিয়েছেন তিনিই। ফ্রেঞ্চ গোলরক্ষক অ্যাগনিও এদিন নায়ক হতে পারতেন। তবে সেটা হয়নি হেইডির কল্যাণেই। 

ফাইনালের শুরুটা অবশ্য খুব বেশি জমজমাট ছিল না। কিছুটা ধীরগতির ফুটবলই দেখা গিয়েছে অল-ইউরোপিয়ান ফাইনালে। শুরুতেই নায়ক হয়েছিলেন হেইডি। ফ্রেঞ্চ মিডফিল্ডার বাউব্রির দুর্দান্ত এক শট ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এই গোলরক্ষক। গোল না পেলেও ফ্রান্সই ছিল বল দখলে এগিয়ে। অন্যদিকে নোয়াহ দারউইচ-প্যারিস ব্রুনাররা খেলেছেন চিরায়ত জার্মান কাউন্টার অ্যাটাক।

২৯ মিনিটে জার্মানির গোলটাও এসেছে সেই সূত্র ধরেই। জার্মানির আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে ফাউল হয় বক্সে। ভিএআর চেকের পর আসে পেনাল্টি। স্পটকিকে দলকে এগিয়ে নেন ব্রুনার। প্রথমার্ধে আরও কিছু সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগানো হয়নি জার্মানির। পেনাল্টির সম্ভাবনাও এসেছিল, তাতে এ দফায় সাড়া মেলেনি। 

বিরতির পর ৫১ মিনিটে গোল করে বসেন জার্মান অধিনায়ক দারউইচ। বার্সেলোনার এই তরুণের গোলের সুবাদে ২-০ গোলের লিড পেয়ে  যায় ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। সুরাকার্তার হাজারখানেক দর্শক তখন অপেক্ষায় একপেশে ফাইনালের। 

কিন্তু এরপরেই যেন দৃশ্যপট বদলে যায়। দুই মিনিটের ব্যবধানে জালের ঠিকানা খুঁজে পান সাইমন বাউব্রে। এই মিডফিল্ডারের গোলটাই যেন ফ্রেঞ্চ শিবিরে যুক্ত করে বাড়তি উন্মাদনা। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণটাও তখন পুরোপুরি ফ্রান্সের হাতে। একের পর এক আক্রমণ করে ৮টি কর্ণারও পেয়ে যায় ফ্রান্স। 

তবে গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল ৮৫ মিনিট পর্যন্ত। ম্যাথিস অ্যামাগোর শেষ সময়ের গোলটা ম্যাচকে নিয়ে যায় পেনাল্টি শ্যুটআউটে। 

এখানেই আবার নায়ক হেইডি। শুরুতে জার্মানি পেনাল্টি মিস করলেও সেটা কাজে লাগানো হয়নি ফ্রান্সের। বরং তাদের টানা তিন পেনাল্টি মিসে বিশ্বকাপ শিরোপা চলে যায় জার্মানির হাতে। ইউরোপ সেরা দলটা এবার জয় করল বিশ্বকাপও।

জেএ/এইচজেএস