বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- বিকেএসপি। বলা চলে বাংলাদেশের ক্রীড়াজগতের আঁতুড়ঘর এই প্রতিষ্ঠান। সেই বিকেএসপির ফুটবল দল আগামী বছর ঘরোয়া ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। জালিয়াতির অভিযোগে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি তাদের এ শাস্তি দিয়েছে। 

আজ (রোববার) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

বাফুফে জানায়, এ বছর তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল চকবাজার কিংস। সেই দলের কয়েকজন ফুটবলার দ্বিতীয় বিভাগে বিকেএসপির হয়ে খেলেছেন। আবার বিকেএসপির কয়েকজন শিক্ষার্থী চকবাজার কিংসের হয়ে তৃতীয় বিভাগে অন্য নামে খেলেছেন। দুই লিগে দুই পরিচয়ে খেলার বিষয়টি বাফুফের নজরে আসে। এরপর বাফুফে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে দোষ খুঁজে পায়। তারপর বাফুফে ডিসিপ্লিনারি কমিটি এ বিষয়ে কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। 

ডিসিপ্লিনারি কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বিকেএসপি’র সিনিয়র ফুটবল কোচ শাহীনুল হক এবং প্রশিক্ষক রবিউল ইসলামকে ফুটবলসংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাফুফে। পাশাপাশি দুজনকে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে। নাম পরিবর্তনকারী তিন খেলোয়াড় নিজ দলের পক্ষে পরবর্তী ছয় ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। আর বিকেএসপিকে ঘরোয়া ফুটবলে এক বছর নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার অর্থ ৬ জানুয়ারির মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।

বাফুফের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গত ২৪ নভেম্বর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল
স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত “বসুন্ধরা গ্রুপ দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লীগ ২০২২-২৩' এ বিকেএসপি ফুটবল দল বনাম আরামবাগ ফুটবল একাডেমির মধ্যকার খেলা শেষে আরামবাগ ফুটবল একাডেমি বিকেএসপির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে। 

পরে বাফুফের তদন্তে জানা যায়, চকবাজার কিংস বিকেএসপির নাইমুর রহমান, হাসান মিয়া ও রিফাত কাজীকে তৃতীয় বিভাগের জন্য নিজেদের দলে ভেড়ায়। পরবর্তীতে তারা প্রত্যেকেই নিজের নামে বা নাম কিঞ্চিৎ পরিবর্তন করে বিকেএসপির হয়ে দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবলেও অংশ নেয়। পরবর্তীতে বাফুফের সঙ্গে সাক্ষাতে এই তিন খেলোয়াড় নিজেদের এমন অবস্থান স্বীকার করে নেন। 

এজডে/জেএ