২০২৩ সালের বর্ষসেরা গোলরক্ষকের তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। সংক্ষিপ্ত এই তালিকায় তিন গোলরক্ষকের নাম রয়েছে। তার হচ্ছেন– মরক্কোর ইয়াসিন বুনো, বেলজিয়ামের থিবো কোর্তোয়া ও ব্রাজিলের এডারসন। এর মধ্যে জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক, ক্রীড়া সাংবাদিক ও ভক্তদের ভোটের ভিতিতে একজনকে দেওয়া হবে ‘ফিফা দ্য বেস্ট গোলকিপার’ অ্যাওয়ার্ড। আগামী ১৫ জানুয়ারি লন্ডনে পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।

এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ২০ আগস্ট পর্যন্ত গোলকিপারদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে। এর আগে সর্বশেষ ২০২২ সালে ফিফার বর্ষসেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতেছিলেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। কোপা আমেরিকার পর কাতার বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের পেছনেও তার অনন্য ভূমিকা ছিল।

ফিফার এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের তালিকায় প্রাথমিকভাবে পাঁচজনকে বাছাই করা হয়। এরপর বিশেষজ্ঞ প্যানেল সেখান থেকে তিনজনকে চূড়ান্ত করে তাদের পক্ষে ভোট গ্রহণ করেন। আন্তর্জাতিক জুরি বোর্ড, জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক, ক্রীড়া সাংবাদিক ও ভক্তরা ফিফার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।

মরক্কোর হয়ে সর্বশেষ বিশ্বকাপে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন গোলরক্ষক বুনো। এরপর স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়াকেও তিনি উয়েফা ইউরোপা লিগের ফাইনালে তোলেন। যেখানে রোমাকে টাইব্রেকারে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় সেভিয়া। যার কল্যাণে ৩২ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক মাসসেরা ফুটবলার ও ইউরোপের টিম অব দ্য সিজনেও জায়গা করে নেন। এরপর বুনোকে সর্বশেষ গ্রীষ্মের দলবদলে সৌদি ক্লাব আল হিলাল দলে ভেড়ায়।

সর্বশেষ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদকে কোপা দেল রের চ্যাম্পিয়ন বানানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বেলজিয়ামের গোলরক্ষক কোর্তোয়ার। আন্তর্জাতিক ফুটবলে তিনি রেড ডেভিলদের হয়ে ১০০তম ম্যাচ খেলারও মাইলফলক ছুঁয়েছেন কাতার বিশ্বকাপে। যা বেলজিয়ামের হয়ে প্রথম কোনো ফুটবলারের শততম ম্যাচ খেলার রেকর্ড। তবে গত আগস্টের পর থেকে এসিএল ইনজুরির কারণে ৩১ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক মাঠের বাইরে আছেন।

আগের মৌসুমে দারুণ এক সময় পার করেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের জায়ান্ট দল ম্যানচেস্টার সিটি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে ট্রেবল জয় পূর্ণ করা দলটির হয়ে পুরো সময়ে গোলবার সামলেছেন ব্রাজিলিয়ান এডারসন। ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ ওই মঞ্চে ইন্টার মিলানকে শেষ মিনিট পর্যন্ত রুখে দেওয়ার অসামান্য কীর্তি ছিল এই গোলরক্ষকের।

এএইচএস