পুরো ক্যারিয়ারজুড়েই অসংখ্য নান্দনিক গোল করে শিরোনাম হয়েছেন আর্জেন্টাইন উইংগার আনহেল ডি মারিয়া। আর্জেন্টিনার হয়ে চার ফাইনালে গোল করে দলকে শিরোপা জিতিয়েছেন। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালেও হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। ক্যারিয়ারটাই এমন, খেতাব পেয়েছেন বিগ ম্যাচের খেলোয়াড় হিসেবে। বয়স বাড়লেও গোলের ক্ষুধায় খুব একটা ভাটা পড়েনি ডি মারিয়ার। 

কদিন আগেই জানিয়েছিলেন ২০২৪ কোপা আমেরিকার অর জাতীয় দলের জার্সিটা তুলে রাখতে চান তিনি। বেলায় বেলায় বয়স এখন ৩৫। তবে এই বয়সে এসেও ডি মারিয়া উপহার দিলেন বিষ্ময়ের। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বাঁচা-মরার ম্যাচে কর্নার থেকে সরাসরি গোল করে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন। বেনফিকাকেও নিয়ে গিয়েছেন ইউরোপা লিগে। 

সালজবার্গের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে জয় পেতেই হতো বেনফিকাকে। আগেই নিশ্চিত ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে যাওয়া হচ্ছেনা পর্তুগিজ ক্লাবটির। তবে জয় না পেলে ইউরোপা লিগ থেকেও ছিটকে পড়তো তারা। অ্যাওয়ে ম্যাচে তাই বেনফিকার উপর চাপটাও ছিল বেশি। 

কিন্তু দলে ডি মারিয়া থাকায় এমন ম্যাচে মানসিকভাবে কিছুটা হলেও এগিয়ে ছিল বেনফিকা। হয়েছেও তাই। এক গোল আর এক অ্যাসিস্টে দলের জয়ে ভূমিকা রেখেছেন আর্জেন্টাইন তারকা। জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কারও। এমনকি এই এক গোলের সুবাদে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ট্রেন্ডিংয়েও শীর্ষে উঠে এসে এসেছেন ডি মারিয়া। 

অবশ্য ডি মারিয়ার আসল জাদু দেখা গিয়েছে ম্যাচের ৩২তম মিনিটে। সংঘবদ্ধ আক্রমণ থেকে কর্নার পায় বেনফিকা। ডানপ্রান্তে পাওয়া সেই কর্নার নেন ডি মারিয়া। বাতাসে তার হালকা সুইং করা বল আটকানোর সাধ্য ছিল না সালজবার্গ গোলরক্ষক স্লাগারের। পরে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে রাফা সিলভার গোলেও সহায়তা করেন তিনি। 

এই জয়ের ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘ডি’ গ্রুপ থেকে তৃতীয় হয়ে ইউরোপা লিগে যাচ্ছে বেনফিকা। শীর্ষ দুই অবস্থান নিশ্চিত করে শেষ ষোলোতে পা রাখছে রিয়াল সোসিয়েদাদ এবং গতবারের রানারআপ ইন্টার মিলান। আর সবার নিচে থেকে গ্রুপ পর্ব থেকেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগকে বিদায় জানাল অস্ট্রিয়ান ক্লাব সালজবুর্গ। 

জেএ