কিছুটা প্রচারের আড়ালেই থাকতে ভালোবাসেন সাদিও মানে। যে কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তেমন সক্রিয় দেখা যায় না আল-নাসরের এই সেনেগালিজ স্ট্রাইকারকে। ২০২৩ আফ্রিকান কাপ অব ন্যাশন্স টুর্নামেন্টে অংশ নিতে মানে সেনেগালে উড়াল দিয়েছেন। আর সেখনেই পরোপকারের জন্য বিভিন্ন সময় খবরের শিরোনামে আসা এই ফুটবলার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। দীর্ঘদিনের বান্ধবী আয়শা টাম্বার সঙ্গে গত রোববার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন তিনি।

দেশটির রাজধানী ডাকারের কেউর মাসারে মানে-টাম্বার বিয়ের এই অনুষ্ঠান হয়। সেনেগাল তারকা সেই খবর সামাজিক মাধ্যমে জানানোর আগেই ছড়িয়ে পড়ে বিয়েতে ফটোগ্রাফির দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানের পোস্টে। ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট গোলডটকম বলছে, কাসামানসার বাসিন্দা টাম্বার সঙ্গে মানের সম্পর্ক কিশোর বয়স থেকেই। এমনকি সাবেক এই লিভারপুল তারকা নাকি টাম্বার স্কুলের খরচও দিতেন বলে জানিয়েছে পালস স্পোর্টস।

তাদের এই বিয়ের খবর প্রথম সামনে আসে ম্যাগভিশন নামে এক ফটোগ্রাফি প্রতিষ্ঠানের দেওয়া ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে। যেখানে মানে-টাম্বা দম্পতিকে রোমান্টিক সব পোজে ক্যামেরাবন্দি হতে দেখা যায়। যার পেছনে লেখা ছিল ‘মিসেস মানে’। পরে অবশ্য মানে নিজেও এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ লিখে বিয়ের ছবি শেয়ার করেছেন। তাদের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন বন্ধু, পরিবার ও সেনেগাল জাতীয় দলের ফুটবলাররা।

আল-নাসরে পর্তুগিজ পোস্টারবয় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়া তৈরি করেছেন মানে। যা সৌদি প্রো লিগের দলটিকেও সাফল্য এনে দিয়েছে। জানুয়ারির শুরুতে মানে আফ্রিকান টুর্নামেন্টে অংশ নিতে নিজের দেশে ফেরেন। গত শনিবারই শুরু হয় ওই প্রতিযোগিতা, এর পরদিনই বিয়ে সেরে ফেলেন ৩১ বছর বয়সী এই ফুটবলার। সাম্প্রতিক সময়ে মানে বাম্বলিতে স্টেডিয়াম স্থাপন করে প্রশংসা কুড়ান তিনি। এর আগে সাদিও মানে নিজ গ্রামে একটি হাসপাতালও তৈরি করেন।

২০২৩ সালে গ্রীষ্মের দলবদলের সময় বায়ার্ন মিউনিখ থেকে আল-নাসরে নাম লেখান মানে। যেখানে এখন পর্যন্ত ১৮ ম্যাচে তিনি ৮টি গোল করেছেন। যেখানে রোনালদোর সঙ্গে তার দারুণ জুটির দেখা মেলে। চলমান আফ্রিকান ‍টুর্নামেন্টটিতেও মানের নৈপুণ্যে সর্বোচ্চ সফলতা পাওয়ার লক্ষ্যে নেমেছে সেনেগাল।

এএইচএস