ফাইল ছবি

বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটি ২১ জনের। সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি চার জন আর নির্বাহী সদস্য ১৫ জন। সংখ্যায় সদস্যগণ বেশি হলেও ফেডারেশনের অনেক বিষয়েই তারা থাকেন অজ্ঞাত!

গতকাল বাফুফের প্রতিনিধিবর্গ নতুন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন অসুস্থ থাকায় সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী প্রতিনিধিবর্গের নেতৃত্ব দিয়েছেন। সালাম মুর্শেদীর সঙ্গে দুই সহ-সভাপতি এবং নির্বাহী কমিটির একজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

নতুন মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন অন্য ফেডারেশনগুলোর তুলনায় ফুটবল ফেডারেশনকে একটু বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। আনুষ্ঠানিক চিঠিতে সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বাজেট কর্মকর্তা ও ট্যাকনিক্যাল ব্যক্তির উপস্থিতি উল্লেখ থাকলেও ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির অন্য কর্মকর্তারাও আমন্ত্রিত ছিলেন। বাফুফে থেকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, চার সহ-সভাপতি, এক সদস্য, সাধারণ সম্পাদকের নাম প্রেরণ করে মন্ত্রণালয়ে। সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান ও আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক অবশ্য সভায় উপস্থিত ছিলেন না। 

নির্বাহী কমিটির ১৪ জন (একজন সদস্য পদত্যাগ করেছেন) সদস্যের মধ্যে মাত্র একজন এবং তিন জন স্টাফও সভায় থাকায় অনেক সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বাফুফের অন্যতম সদস্য আমের খান গতকালের বাফুফে প্রতিনিধির সাক্ষাৎ নিয়ে অবগত ছিলেন না বলে মন্তব্য করেন, 'নতুন মন্ত্রী বাফুফের সঙ্গে মত বিনিময় করেছে দারুণ বিষয়। নির্বাহী সদস্য হিসেবে আমার জানার অধিকার ছিল কারা যাচ্ছেন কিন্তু আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলাম না।'

২০২০ সালে বাফুফে নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়ে প্রথম সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন জাকির হোসেন চৌধুরি। প্রথম সদস্য হয়েও অনেক ক্ষেত্রে তিনি বঞ্চিত। তাই সদস্যদের ক্রমিক অনুসরণের দাবি তার, 'কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি থেকে সদস্য সবাই নির্বাচিত হয়ে এসেছি আমরা। সহ-সভাপতির পর সদস্যদের কোনো বিষয় আসলে সেটা অবশ্যই সিরিয়াল অনুসরণ করা উচিত। মাননীয় মন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক। আমরা সদস্যরাও ব্যক্তিগত অথবা একত্রে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করব।’ আরেক সদস্য মহিদুর রহমান মিরাজের দাবি, 'সদস্যদের সমান মর্যাদা নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।’

২০২১ সালে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বাফুফে ভবনে সৌজন্য সফরে গিয়েছিলেন। সেই সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য ফেডারেশনের প্রত্যেকে আমন্ত্রিত ছিলেন। অনেক সদস্য জেলা থেকেও এসেছিলেন। সভা শুরুর সময় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা থাকতে পারেননি। এতে ক্ষোভে অনেকে ততক্ষণাৎ ভবন ত্যাগ করেছিলেন। সেই সভাতেও উপস্থিত ছিলেন একমাত্র সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ। ফিফা, এএফসি’র কাউন্সিল সদস্য এবং বাফুফের মহিলা ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান হওয়ায় প্রায় সব ক্ষেত্রেই তার প্রতিনিধিত্ব থাকে। বাংলাদেশ ফুটবল ও ফেডারেশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নারী ফুটবল। নির্বাহী সদস্য হিসেবে নয় নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে গতকালের সভায় উপস্থিত ছিলেন কিরণ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফেডারেশনের একাধিক সূত্র।

এজেড/এইচজেএস