৬২ মিনিটে মাঠে নামার পর ভিতর রকির সময় লাগল মোটে ৬৮ সেকেন্ড। বাম প্রান্ত থেকে হোয়াও ক্যানসেলো ত্রিভেলা শটে ক্রস করেছিলেন। রকি তাতে মাথা ছুঁইয়ে বলের দিক পরিবর্তন করে জালে পাঠান। লা লিগায় ওসাসুনার বিপক্ষে ম্যাচে এটাই ছিল টার্নিং পয়েন্ট। গত সপ্তাহের বিভীষিকা ভুলে এগুবার জন্য এমন এক জয়ই দরকার ছিল বার্সার জন্য। 

৬৮ মিনিট পর্যন্ত ম্যাড়ম্যাড়ে এক ম্যাচই দেখতে হয়েছে বার্সেলোনার ভক্তদের। স্প্যানিশ কোপা দেল রে-তে অ্যাথলেটিক বিলবাও এবং লা লিগায় ভিয়ারিয়ালের কাছে হেরে টালমাটাল এক সময়ের মধ্যে ছিল বার্সা। ভিয়ারিয়ালের কাছে হারের পর তো বার্সার ডাগআউট ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণাও দিয়ে ফেলেছেন জাভি। তারপর এমন জয় নিশ্চিতভাবেই প্রেরণা দেবে তাদের। 

ওসাসুনার বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর ৭ মিনিটের মাথায় উঠে যেতে হয়েছিল ফেরান তোরসকে। ইনজুরির জন্য মাঠ ছাড়েন তিনি। তার বদলি নামা ফারমিন লোপেজই পুরো ম্যাচে বার্সার হয়ে যা একটু ভয় ছড়িয়েছেন। হোয়াও ক্যান্সেলো আর লোপেজের কল্যাণেই ওসাসুনার বিপক্ষে আক্রমণ করেছিল কাতালুনিয়ার ক্লাবটি। 

এই ম্যাচে আবারও হতাশ করেছেন রবার্ট লেফানডফস্কি। ৯০ মিনিট খেলে ৩বার শট নিতে পেরেছিলেন এই পোলিশ স্ট্রাইকার। তার মধ্যে দুটো আটকেছে ডিফেন্ডাররা। আর একটি চলে যায় গোলপোস্টের অনেকটাই বাইরে দিয়ে। আক্রমণভাগের আরেক ভরসা লামিনে ইয়ামালও খুব একটা ভয় ছড়াতে পারেননি। 

বার্সার ত্রাতা হয়েছিলেন বদলি নামা রকি। নেমেই পেয়েছেন গোল। বাকি সময়টা তিনিই ভয় ছড়িয়েছেন। তাকে ফাউল করতে গিয়েই আবার লালকার্ড দেখেছেন ওসাসুনার উনাই গার্সিয়া। দশজনের ওসাসুনার বিপক্ষেও অবশ্য গোল আদায় করতে পারেনি বার্সেলোনা। ৭৯ মিনিটে অবশ্য রকির পাস থেকে গোল করেছিলেন লেভানডফস্কি। কিন্তু অফসাইড থাকায় গোলটি বাতিল হয়। 

এই জয়ের পর ২২ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে তৃতীয় বার্সা। সমান ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে জিরোনা। দুইয়ে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। 

জেএ