দুদিন আগে লা লিগার ম্যাচে গেতাফেকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু ম্যাচটির ফলাফলের চেয়ে এখন অলোচনার কেন্দ্রে রিয়ালের তারকা মিডফিল্ডার জ্যুড বেলিংহ্যাম। তবে সেটি তার পারফরম্যান্সের কারণে নয়। প্রতিপক্ষ ফুটবলার ও ইংল্যান্ড জাতীয় দলের সতীর্থ ম্যাসন গ্রিনউডের উদ্দেশে ‘ধর্ষক’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। যার কারণে বেলিংহ্যামের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে লা লিগা কর্তৃপক্ষ।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ধারে গেতাফের হয়ে খেলছেন গ্রিনউড। রিয়ালের সঙ্গে ম্যাচটিতে বল দখলের লড়াইয়ে তিনি বেলিংহ্যামকে ট্যাকলের চেষ্টা করেন। যার জবাবে তাকে ‘র‌্যাপিস্ট’ বলে ডাক দেন বেলিংহ্যাম। যা নিয়ে ম্যাচ শেষে লা লিগায় অভিযোগ জানায় গেতাফে। যেখানে এই ইংলিশ তারকা ঠোঁটের ভাষা (লিপ-রিডার) বুঝতে কাজ করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। 

বিষয়টি নিয়ে লা লিগা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘গতকাল ম্যাচ পরিচালক এবং লা লিগার কাছে অভিযোগটি স্থানান্তর করেছে গেতাফে। বিষয়টি তদন্তে লিপ রিডিংয়ের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ প্রতিবেদন দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।’

বেলিংহ্যাম ও গ্রিনউডের বল দখলের লড়াই

লিপ-রিডিং বিশেষজ্ঞ জেরেমি ফ্রিম্যান ডেইলি মেইলকে জানিয়েছেন, ‘খুবই সতর্কতার সঙ্গে ভিডিও ক্লিপটি বিশ্লেষন করে আমি ৯৭ শতাংশ নিশ্চিত যে সেখানে ‘র‌্যাপিস্ট’ শব্দ উচ্চারিত হয়েছে। তার ঠোঁটের উচ্চারণে উপস্থিতি রয়েছে ইংরেজি ‘আর’ এবং ‘পি’ বর্ণের, সবমিলিয়ে শব্দটাও স্বচ্ছভাবেই বোঝা যাচ্ছে। যেখানে তার উচ্চারিত ভাষায় রয়েছে ইংরেজি ব্রুমি অ্যাকসেন্ট।’

আনুষ্ঠানিকভাবে বেলিংহ্যামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে, বড় শাস্তির মুখে পড়তে হবে তাকে। আর কোনোভাবে তিনি নিষিদ্ধ হলে, লিগের শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের জন্য সেটি হবে বড় ধাক্কা। এদিকে, বিষয়টি নিয়ে স্প্যানিশ ক্লাবটির সঙ্গে যোগাযোগ করলে, তারা ক্রীড়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য অ্যাথলেটিকের কাছে কোনো মন্তব্য করেনি।

উল্লেখ্য, বান্ধবীকে পেটানো ও ধর্ষণের অভিযোগে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে আটক হয়েছিলেন গ্রিনউড। যদিও ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সব অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার কথা জানায় ইউনাইটেড।

এএইচএস