একেবারেই অপ্রত্যাশিত এক ঘটনা ঘটল সৌদি আরবের রিয়াদ সিজন কাপের ফাইনালে। টুর্নামেন্টের ট্রফি উন্মোচনের জন্য যিনি এলেন তিনি আদতে ফুটবলারই না। তিনি প্রো-রেসলিং এর জীবন্ত কিংবদন্তি মার্ক উইলিয়াম ক্যালাওয়ে। যিনি চারকোণা রিংয়ের জগতে আন্ডারটেকার নামেই বেশি পরিচিত। সাবেক এই রেসলার এলেন তার চিরচেনা কালো পোশাক এবং আইকনিক মিউজিক নিয়ে। 

রিয়াদ সিজন কাপের ফাইনালে শুধু আন্ডারটেকারকে দেখে সতীর্থদের সঙ্গে হাসি বিনিময় করেছিলেন রোনালদো। কিন্তু ম্যাচশেষে তার মুখের সেই হাসি আর থাকেনি। একমাস পর ফুটবলের মাঠে এসে মেজাজ হারিয়েছেন কয়েকদফায়। ম্যাচটাও হেরেছেন। আল হিলালের কাছে ২-০ গোলের হারে হাসি মুছে যায় রোনালদোর মুখ থেকে। 

সৌদির কিংডম অ্যারেনায় ম্যাচের শুরু থেকে খুব বেশি দাপট দেখানো হয়নি আল-নাসরের। ম্যাচের শুরুর ৩০ মিনিটেই জোড়া গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে তারা। সেই ধাক্কা থেকে আর ফিরে আসা হয়নি তাদের। আল হিলালের জালে কোনোভাবেই বল জড়াতে পারেনি তারকায় ঠাসা আল-নাসর। শুরুর ওই দুই গোলেই হার নিশ্চিত হয় তাদের।  

ম্যাচের ১৭ মিনিটে আব্দুলহামিদের অ্যাসিস্ট থেকে নাসরের জাল কাঁপান সার্গেই মিলানকোভিচ। এরপর নিজেদের খানিক গুছিয়ে ওঠার চেষ্টায় ছিল রোনালদোরা। কিন্তু এরইমাঝে আরেক গোল হজম। ত্রিশ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সালেম আলদাওসারি। তাকে গোল করতে সহায়তা করেন ম্যালকম। 

এদিন ম্যাচের শুরুর একাদশেই ছিলেন রোনালদো। আফ্রিকান কাপ অভ নেশন্স শেষ করে আসা সাদিও মানে নামেন দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে। লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামির বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড তালিস্কা ও ওতাভিও খেলেছেন ম্যাচের শুরু থেকে। তবে এতকিছু থেমে গিয়েছে আল-হিলাল রক্ষণের সামনে। 

এমনকি গোলে শট নেয়ার পরিসংখ্যানেও পিছিয়ে ছিল নাসর। ৫৬ শতাংশ সময় বল রাখলেও মাত্র ২টি শট ছিল গোলমুখে। অন্যদিকে আল হিলাল বল দখলে রাখলেও ১০টি শট নিয়ে ৬টি গোলমুখে রাখে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যবধান গড়ে দিয়েছিল শুরুর ওই দুই গোল। তাতেই রিয়াদ সিজন কাপের ট্রফি যায় আল-হিলালের ঘরে। 

জেএ