শেষবার বায়ার্ন মিউনিখ কবে কোন ইতালিয়ান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে হেরেছিল, সেটা খুঁজতে চাইলে ফিরে যেতে হবে ১৩ বছর আগে। ইন্টার মিলানের বিপক্ষে জার্মান জায়ান্টরা দেখেছিল হারের মুখ। আর শেষ কবে পুরো ম্যাচে একটা শটও অন টার্গেটে রাখা হয়নি, এমন প্রশ্ন করলে ফিরতে হবে ৯ বছর আগে। ২০১৫ সালের পর থেকে সব ম্যাচেই অন্তত একটি শট গোলের লক্ষ্যে রেখেছিল বাভারিয়ানরা। 

বায়ার্নের এমন অপ্রতিরোধ্য যাত্রা থামল লাৎজিও এর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে মাউরিজিও সারির দলের কাছে ১-০ গোলে হেরে গিয়েছে বায়ার্ন। শেষ ষোলোর প্রথম লেগে এমন হারের পর হুমকিতে আছে তাদের শেষ আটের অংশগ্রহণ। শেষ ১২ বছরে কেবল একবারই এমন দিন দেখতে হয়েছে বায়ার্নকে। 


 
বায়ার্ন মিউনিখ ০ - ১ লাৎজিও 

বুন্দেসলিগায় নিজেদের আধিপত্যের শেষ দেখছে বায়ার্ন। ১ যুগ পর নিজেদের লিগে নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে তাদের। বায়ার লেভারকুসেনের কাছে লিগ হয়ত হাতছাড়া করতে হবে তাদের। লেভারকুসেনের কাছে হারের পর লাৎজিওর কাছে এবার বিপদ দেখতে হচ্ছে বাভারিয়ানদের।

পুরো ম্যাচে ১৭টি শট নিলেও একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি হ্যারি কেইন, টমাস মুলাররা। গোলমুখে একের পর এক সুযোগ পেয়ে হাস্যকর সব মিস করেছেন জার্মান জায়ান্টরা। কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করতে হলে ঘরের মাঠে পরের লেগে জিততেই হবে তাদের। দুই দলের ফিরতি লেগ ৫ মার্চ।

ইতালির অলিম্পিক স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে বায়ার্ন সবচেয়ে বেশি ভুগেছে তাদের নিজেদের খেলোয়াড় দায়োত উপামেকানোর কারণে। ৬৭ মিনিটে ইসাকসেনকে ফাউল করে উপামেকানো মাঠ ছেড়েছেন। একইসঙ্গে লাৎজিওকে দিয়ে যান পেনাল্টি। সেখান থেকেই ইতালিয়ান ক্লাবটিকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন চিরো ইম্মোবিল।

৯০ মিনিটে কিম-মিন-জায়ে এন্দেরসনের শট প্রতিহত না করলে ব্যবধান ২-০ হতে পারত। ২৪ বছর পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউটে জয় পেল ইতালিয়ান ক্লাবটি। 

জেএ