ইন্টার মায়ামির হয়ে হংকং একাদশের বিপক্ষে দেশটিতে খেলার কথা ছিল আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসির। ইনজুরির কারণে ম্যাচটি খেলতে পারেননি তিনি। তবে এর তিনদিন পরই জাপানের ক্লাব ভিসেল কৌবের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন মেসি। যা নিয়ে বেজায় ক্ষেপে যায় হংকং ও চীন সরকার। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আর্জেন্টিনার নির্ধারিত প্রীতি ম্যাচও বাতিল করে চীন

আটবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী মেসিকে নিয়ে চাইনিজ সমর্থকদের মধ্যে অন্য ধরনের উন্মাদনা আছে। কিন্তু গত ৪ ফেব্রুয়ারি প্রীতি ম্যাচটির প্রায় ৪০ হাজার টিকেট নিমিষেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। এমনকী এক হাজার হংকং ডলার ব্যয় করেও মেসির খেলা দেখতে অনেকেই মাঠে ছুটে এসেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রিয় তারকাকে দেখতে না পেয়ে মিয়ামি কোচ জেরার্ডো মার্টিনো ও মালিক ডেভিড বেকহ্যামকে উদ্দেশ্য করে দুয়োধ্বনি দিতে থাকেন তারা। টিকিটের অর্থও ফিরিয়ে দিতে আয়োজকদের কাছে দাবি জানায়। 

মেসির অনুপস্থিতিতে অনেকেই চীনকে খাটো করার বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে। কয়েকদিন পর জাপানে প্রীতি ম্যাচে মেসি ৩০ মিনিটের জন্য মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু সব সমালোচনাকে উড়িয়ে দিয়ে চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে এক ভিডিও পোস্টে মেসি বলেন, ‘সবাই জানে আমি সবসময়ই প্রতি ম্যাচে খেলতে চাই। এমন যদি আগে থেকে জানা থাকতো যে মূল দলে আমি থাকতে পারছি না তবে হয়তোবা হংকং সফরে দলের সাথে যেতাম না। এখানে রাজনৈতিক কোনো কারণই নেই।’

একইসঙ্গে তিনি ভিডিওতে আরও বলেছেন চীনার সঙ্গে তার অত্যন্ত ভালো ও ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। শুধু ইনজুরিই তার না খেলার মূল কারণ। এ্যাবডাক্টর পেশীর ইনজুরির কারনে তিনি খেলতে পারেননি। 

মেসির এই ভিডিও বার্তা পোস্টের সাথে সাথেই সমর্থকরা তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেউ কেউ মেসিকে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে অনেকেই আবার মেসির না খেলার বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি। 

এফআই