জাতীয় ফুটবল দল নিয়ে কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা যখন সংবাদ সম্মেলন করছেন, তখন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া আবাহনী ক্লাবের সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত। আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরে ঢাকায় পৌঁছেই দুপুরে তিনি আবাহনী ক্লাবে গিয়েছেন। 

আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিভাগের লিগ ছেড়ে বাংলাদেশে আবাহনীতে প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় লেগে খেলবেন জামাল। এজন্য দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলেও কিছু আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। এই বিষয় আলাপ করতেই আজ দুই পক্ষের বৈঠক হয়েছে ক্লাব প্রাঙ্গনে। আবাহনীর ম্যানেজার কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মূলত আন্তর্জাতিক ছাড়পত্র নিয়েই আলোচনা হয়েছে। সে আমাদের বলেছে ধারে নয়, সম্পূর্ণ ফ্রি হয়ে আমাদের সঙ্গে খেলবে। আমরা ফেডারেশনের মাধ্যমে তার জন্য আন্তর্জাতিক ছাড়পত্র চাইব।’

জামাল ভূঁইয়ার সঙ্গে সোল দা মায়োর চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই দেশে ফিরতে চান তিনি। বাংলাদেশের অধিনায়ক এমনটা চাইলেও আর্জেন্টিনার ক্লাব কেমন আচরণ করে সেটাও বিবেচ্য বিষয়। জামাল ভোররাতে সাংবাদিকদের আবাহনী ক্লাবে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানালেও বৈঠকের পর তার ছাড়পত্র এবং কেন আর্জেন্টিনা ছাড়তে চান এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাওয়া হলেও পাওয়া যায়নি।

আজ জাতীয় দলের সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উঠেছে জামাল ভূঁইয়ার অর্ন্তভূক্তি নিয়ে। গত তিন মাস তিনি প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলের বাইরে। এরপরও জামালকে নেওয়ার কারণ সম্পর্কে হ্যাভিয়ের বলেন, ‘সে যে লিগে খেলেছে সেখানে এখন বিরতি। সে খেলার মধ্যে নেই এটা সত্যি। তবে সে ফিট রয়েছে। জামাল অধিনায়ক, তাকে দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সন্দেহ ছিল না।’

ফুটবলে সাধারণত যারা নিয়মিত ৯০ মিনিট খেলেন তারাই অধিনায়কত্ব করেন। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক এখন প্রায়ই মধ্য বিরতিতে বদল হন। খেলার মাঝে আর্মব্যান্ড বদলের বিষয়টি একটু দৃষ্টিকটুই। তবে এ নিয়ে বিচলিত নন কোচ, ‘অধিনায়কের নেতৃত্ব গুণাবলীটাই আসল। জামালের সেটা রয়েছে। তরুণদের জন্য সে অনুকরণীয়।’

এজেড/এএইচএস