ছবি: সংগৃহীত

নিউক্যাসলের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র, তাতে টানা দুই ম্যাচে জয়হীন থেকে বছর শেষ লিভারপুলের। এতে করে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে তিন পয়েন্টের দূরত্বে নেমে এসেছে অল রেডরা। তবে কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ জানাচ্ছেন, টেবিল নিয়ে এখনই ভাবছে না তার দল।

প্রতিপক্ষের মাঠ সেইন্ট জেমস পার্কে শুরু থেকে ম্যাচের দখলে থাকলেও সুযোগগুলো ঠিকঠাক কাজে লাগাতেই পারেনি লিভারপুল। দুই অর্ধে দুটো বড় সুযোগ নষ্ট করেছেন মোহামেদ সালাহ। এরপরও ৮০ মিনিটে গোলের খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন সাদিও মানে। ফ্যাবিয়ান শারের দুর্দান্ত এক গোললাইন ক্লিয়ারেন্স গোলবঞ্চিত রাখে তাকে। 

৮৮ মিনিটে রবার্তো ফিরমিনোর হেড, এবার নিউক্যাসল গোলরক্ষক কার্ল ডারলোর সেভে গোলের দেখা পায়নি লিভারপুল। ফলে ওয়েস্ট হ্যামের পর নিউক্যাসলের বিপক্ষেও জয়বঞ্চিত থাকে দলটি।

টানা দুই ড্র সত্বেও লিভারপুল অবশ্য আছে লিগের শীর্ষেই। কোচ ক্লপ অবশ্য সেসব ব্যাপারে মনোযোগী নন। বললেন, ‘ব্যাপারটা ভালো কিন্তু অর্থহীন। আমরা ড্র করেও শীর্ষে আছি, এর মাধ্যমেই বোঝা যায় মৌসুমটা সবার জন্যেই কতটা কঠিন!’

ক্লপ অবশ্য দলের পারফর্ম্যান্সে সন্তুষ্ট। জার্মান কোচের ভাষ্য, ‘আমরা কাঙ্খিত ফলাফলটা পাইনি কিন্তু এটাই পৃথিবীতে সবচেয়ে বাজে ব্যাপার নয়! এর চেয়েও খারাপ ব্যাপার প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। আমার অবশ্য খেলাটা ভালো লেগেছে। ফলাফল নিয়ে আমরা খুশি নই, তবে পারফর্ম্যান্স নিয়ে আমি খুশি। কারণ খেলা আর রক্ষণ করার এটাই একটা উপায়। আমরা সবই করেছি, কিন্তু এটা এরপরও কিছুটা হতাশাজনক।’

ড্রয়ের পর শীর্ষে থাকলেও দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনাইটেডের সঙ্গে ব্যবধান কমে এসেছে লিভারপুলের। ১৬ ম্যাচ থেকে ক্লপের দলের সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট, এক ম্যাচ কম খেলে ইউনাইটেড ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে তালিকার দুইয়ে।

নতুন বছরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আগামী ৫ জানুয়ারি সাউদাম্পটনের আতিথ্য নেবে লিভারপুল। পরের ম্যাচেই ইউনাইটেডের বিপক্ষে বড় পরীক্ষা অপেক্ষা করছে ক্লপের দলের। অন্যদিকে ম্যানইউ নিজেদের ২০২১ সালে নিজেদের প্রথম ম্যাচে খেলবে আগামী রোববার, অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে।  

এনইউ