জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূইয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে দ্বিতীয় লেগে ঢাকা আবাহনীর হয়ে খেলতে চান। ঢাকা আবাহনীও তাকে দলে ভেড়াতে চায়। দুই পক্ষের চুক্তিপত্রের আলোকে আবাহনী বাফুফের মাধ্যমে জামাল ভূইয়ার জন্য আন্তর্জাতিক ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছে।

বাফুফে আর্জেন্টিনায় ফুটবল এসোসিয়েশনের কাছে জামালের জন্য ছাড়পত্র চেয়েছে। আর্জেন্টিনা ফুটবল এসোসিয়েশন জামালের ক্লাব সোল দা মায়োর সঙ্গে আলোচনাক্রমে ছাড়পত্রের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবে। আন্তর্জাতিক ফুটবলের নিয়ম অনুযায়ী ছাড়পত্র আবেদনের সাত কর্ম দিবসের মধ্যে ‘হ্যা' বা 'না’ সিদ্ধান্ত জানাতে হয়।

জামালের ছাড়পত্র আসলে আবাহনী তাকে পেশাদার লিগের নিবন্ধন ফরমে স্বাক্ষর করাবে। সেই ফরম বাফুফেতে জমা দেয়ার পর আবাহনীর নিবন্ধিত খেলোয়াড় হিসেবে গণ্য হবে। আর ছাড়পত্র না আসলে জামালের আবাহনীর নিবন্ধন সম্ভব হবে না।

ফুটবলাররা এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে খেলে বেড়ান। প্রায় সকল ক্ষেত্রে খুব সহজেই মিলে আইটিসি (ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সফার সার্টিফিকেট)। বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূইয়ার এবারের আইটিসি একটু ঝামেলাপূর্ণ। আর্জেন্টিনার ক্লাবের সঙ্গে মেয়াদ পূরণের আগেই জামাল চুক্তি ছেদ করেছেন। চুক্তি ছেদ করে আবার বকেয়া পারিশ্রমিকের দাবি তুলেছেন। তাই ছাড়পত্র না আসা পর্যন্ত বিষয়টি জটিল অবস্থায় রয়েছে।

জামালের দলবদল বরাবরই নাটকীয়তা ও বিতর্কপূর্ণ। শেখ রাসেল থেকে আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিভাগ লিগের ক্লাব সোল দা মায়োতে যাওয়ার সময় নানা জটিলতা ছিল। এবার ফেরার পথটাও কঠিন।

এজেড/এইচজেএস