রাতের অন্য ম্যাচেও নায়ক ছিলেন একজন স্ট্রাইকার। হ্যারি কেন জোড়া গোল করে বায়ার্নকে তুলেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে। কেন যা করেছেন, পিএসজির হয়ে কিলিয়ান এমবাপেও করলেন ঠিক একই কাজ। আরও একবার নিজের জাত চিনিয়েছেন এই ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার। জোড়া গোলে প্যারিসের ক্লাবটিকে নিয়ে গিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে। 

পিএসজি ২ - ১ রিয়াল সোসিয়েদাদ 

এমবাপে ক্লাবে থাকবেন না। এই খবরটা বেশ পুরোনো। রিয়াল মাদ্রিদে যাচ্ছেন, এটাও অনেকেরই জানা। তবে এমন ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে এমবাপেকে পুরো নব্বই মিনিট খেলাননি কোচ লুইস এনরিকে। কোচ অবশ্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন, দলকে এমবাপে বিহীন অবস্থায় অভ্যস্ত করতে চান তিনি। যদিও এই নিয়ে বহু প্রশ্নই উঠেছে। সে কারণেই কিনা এই ম্যাচে পুরোটা খেলেছেন পিএসজি অধিনায়ক। 

আর সেটারই পূর্ণ সুবিধা পেল পিএসজি। দাপুটে ফুটবল উপহার দিয়েছে পুরোটা সময় জুড়েই। সোসিয়েদাদের মাঠে ২-০ গোলে জয় পেয়েছিল আগেই। এই ম্যাচের শুরুটাও তাই হয়েছিল নির্ভার থেকে। তার সুফল পেতে সময় লেগেছে ১৫ মিনিট। উসমান দেম্বেলের বাড়ানো বল সোসিয়েদাদ বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুই ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে কোনাকুনি শটে গোল করেন এমবাপে।

এরপরেই আবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল পিএসজির সামনে। সেবার অবশ্য বাঁধা হয়ে দাঁড়ান সোসিয়েদাদের স্প্যানিশ গোলরক্ষক। চাপ তৈরি করলেও বাকিটা সময় আর গোল পায়নি স্বাগতিকরা। 

দ্বিতীয়ার্ধেই অবশ্য আবার গোলের আনন্দে মাতেন এমবাপ। লিং কাং-ইনের বাড়ানো বল ধরে বক্সে ঢুকে বল জালে জড়ান তিনি। আগেরবার দূরের পোস্টে শট করেছিলেন। এবারও ধারণা ছিল তেমন কিছুর। তবে গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে কাছের পোস্টেই গোল করলেন এমবাপে। 

চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এটি তার ৩৪তম। এই গোলের পরেই সোসিয়েদাদের হার নিশ্চিত হয়ে যায়। ৮৯ মিনিটে স্প্যানিশ দলটির হয়ে ব্যবধান কমানোর একমাত্র গোলটি করেন মিকেল মেরিনো। ৪-১ অ্যাগ্রিগেটের হারে বিদায় নেয় রিয়াল সোসিয়েদাদ। 

জেএ