ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টানা জিতে চলেছে আর্সেনাল। ধারাবাহিকভাবে নিজেদের অষ্টম জয় পাওয়ার ম্যাচে তারা পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেও ওঠে গেছে। যদিও গানারদের জয় নির্ধারণী গোলটা আসে একেবারে শেষ মুহূর্তে। দুর্দান্ত ক্রসে পাওয়া বলে কাই হাভার্টজের হেড ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে আর্সেনালের ২-১ গোলে জয় নিশ্চিত করেছে।

গতকাল (শনিবার) রাতে ঘরের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে ব্রেন্টফোর্ডকে আতিথ্য দেয় গানাররা। গোলের শুরুটাও তারাই করেছিল। তবে প্রথমার্ধের আগেই সেই গোল শোধ করে ব্রেন্টফোর্ড। শেষদিকে গিয়ে সেই সমতার স্কোর ভেঙে যায়। এদিন স্বাগতিক আর্সেনালের হয়ে একটি করে গোল করেছেন ডেকলান রাইস ও হার্ভাটস। ব্রেন্টফোর্ডের হয়ে গোল করেন ইয়োয়ান উইসা।

ম্যাচের ১৯তম মিনিটে ইংলিশ মিডফিল্ডার রাইস প্রথম স্বাগতিকদের লিড এনে দেন। বেন হোয়াইটের ক্রসে হেড দিয়ে বলের ঠিকানা বানান ব্রেন্টফোর্ডের জালকে। সেই লিড তারা প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ধরেও রেখেছিল। তবে যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে কঙ্গোর মিডফিল্ডার উইসা সফরকারীদের হয়ে এক গোল শোধ করেন। তবে সেই গোলেও আছে আর্সেনালের অবদান। তাদের গোলরক্ষক অ্যারন র‌্যামসডেলের মারাত্মক ভুলে বল পেয়ে গোল দিতে ভুল করেননি উইসা।

সমতা নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধেরও বেশ কিছুটা সময় চলে যায়। আবারও দলকে লিড এনে দেওয়ার সুযোগ আসে রাইসের সামনে। তবে ইংলিশ মিডফিল্ডারের নেওয়া জোরালো শট ক্রসবারে লেগে বাধা পায়। ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগির ভাবনা নিয়েই ম্যাচ শেষদিকে গড়ায়। এরপরই হাভার্টজের গোল। ৮৬ মিনিটে ইংলিশ ডিফেন্ডার হোয়াইটের দুর্দান্ত ক্রসে পাওয়া বল হেড দিয়ে সমতা ভাঙেন জার্মান তারকা। শেষ মুহূর্তের গোলে ‍পূর্ণ পয়েন্ট নিশ্চিত করে মাইকেল আর্তেতার শিষ্যরা।

এর আগে ডিসেম্বরে লিগের তিনটি ম্যাচে হার ও একটি ড্র–তে বড় ধাক্কা খেয়েছিল আর্সেনাল। এরপর থেকেই তারা দুরন্ত গতিতে ছুটছে। চলতি বছরে আট ম্যাচ খেলে জিতল সবকটিতেই। টেবিলে শীর্ষে ফেরার দিনে আর্সেনালও উদযাপনে মাতোয়ার হয়েছে। সেই দলে ছিলেন কোচ আর্তেতাও। গ্যালারির দিকে বারবার হাত ছুঁড়ে তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

এই জয়ে ২৮ ম্যাচে ২০ জয় ও ৪ ড্রয়ে ৬৪ পয়েন্ট পেল আর্সেনাল। তাদের শীর্ষস্থান দখল প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার লড়াই আরও জমিয়ে তুলল। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলা লিভারপুল ও ম্যানসিটি আছে যথাক্রমে দুই ও তিনে। অলরেডদের পয়েন্ট ৬৩ এবং তাদের চেয়ে এক পয়েন্ট কম ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন সিটির।

এএইচএস