এপ্রিলে নারী ফিফা উইন্ডোতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের দু’টি প্রীতি ম্যাচ খেলতে মিয়ানমার যাওয়ার কথা ছিল। দুই ফেডারেশনের মধ্যে কথাবার্তাও চূড়ান্ত। বাংলাদেশ-মিয়ানমার রাজনৈতিক পরিস্থিতি খানিকটা উত্তপ্ত এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ উত্তপ্ততার জন্য বাফুফে সাবিনাদের সফরের ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল। বাফুফের সেই চিঠির উত্তর আজ (বৃহস্পতিবার) দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় এই মুহূর্তে নারী দলকে মিয়ানমার সফরে নিরুৎসাহিত করেছে। 

আজ দুপুরে নারী লিগের দলবদল অনুষ্ঠানে বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ মিয়ানমার সফর নিয়ে বলেন, ‘আমরা এখনও এই সফর নিয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেইনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমার সফরে যেতে না করেছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’

মাহফুজা আক্তার দুপুরে এমন মন্তব্যের ঘণ্টা খানেক পর সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আজ আমরা একটি নির্দেশনা পেয়েছি। মিয়ানমারকে বিষয়টি জানাচ্ছি এবং রবি-সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের অবস্থান জানাতে পারব।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিরাপত্তাজনিত কারণেই বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে মিয়ানমার সফর করতে বারণ করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমার বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে। এখনও বিদেশি ফুটবল দল রয়েছে মিয়ানমারে। মিয়ানমার ফুটবল ফেডারেশন থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা আনুষ্ঠানিক আকারে পেলে বাফুফে ফের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এতে সন্তুষ্ট হলে সাবিনারা মিয়ানমার সফরে যাবে, অন্যথায় নয়। 

দেশের বাইরে কোনো টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে হলে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি আদেশ প্রয়োজন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত বা অনুমতির প্রয়োজন হয় না। মিয়ানমারের পরিস্থিতি খানিকটা ভিন্ন বিধায় বাফুফে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমার সফরে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করায় বাফুফের পক্ষে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জিও নিয়ে সফর করা সম্ভব নয়। 

এজেড/এএইচএস