বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে আজ (শুক্রবার) ছিল তিনটি ম্যাচ। আবাহনী-ফর্টিজ, রহমতগঞ্জ-ব্রাদার্স ম্যাচের বাঁশি বাজিয়েছেন পূর্বনির্ধারিত রেফারিরাই। তবে বসুন্ধরা কিংস ও চট্টগ্রাম আবাহনী ম্যাচে বদলে গেছে রেফারি। ওই ম্যাচে প্রথমে বরাদ্দকৃত রেফারির বদলে আজ বাঁশি বাজিয়েছেন নাসির। দুই সহকারী, ম্যাচ কমিশনার ও চতুর্থ রেফারি ঠিক থাকলেও রেফারি বদল হয়েছে কিংস-চট্টলা আবাহনী ম্যাচে।

ফেডারেশন ও ফুটবলাঙ্গনের বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, আজকের বসুন্ধরা কিংস ও চট্টগ্রাম আবাহনী ম্যাচে বাফুফের রেফারিজ বিভাগ দেশের একজন শীর্ষ রেফারিকে বরাদ্দ দিয়েছিলেন। গতকাল বরাদ্দ দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই রেফারি বদলানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। কারণ হিসেবে জানা গেছে, শীর্ষ ক্লাবের ওই রেফারির প্রতি আপত্তি।  

রেফারি বরাদ্দ অত্যন্ত গোপনীয় বিষয়। ক্লাব আগে কিভাবে জানল কোন রেফারি ওই ম্যাচে থাকছে? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ফুটবলাঙ্গনে। জাতীয় ফুটবল দলের প্রাথমিক তালিকা, একাদশের মতো এখন রেফারির বরাদ্দও ফাঁস হয়ে যাচ্ছে ফেডারেশনের। এ বিষয়ে হতাশা প্রকাশা করে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও রেফারিজ কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘রেফারি বরাদ্দ অত্যন্ত গোপনীয় কাজ। যারা এই বরাদ্দের কাজটি করেন, ফাঁস হলে এদের মাধ্যমেই হয়েছে। আগামীতে বরাদ্দের কাজটি আরও সততা ও গোপনীয়ভাবে করার নির্দেশনা থাকবে।’

প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের বাইলজের ১৫.১ ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, রেফারিজ কমিটি ম্যাচে রেফারিদের বরাদ্দ করবে। এই এখতিয়ার শুধু মাত্র তাদেরই। গঠনতন্ত্রে রেফারিজ কমিটির কথা থাকলেও মূলত বরাদ্দের কাজটি করছে রেফারিজ বিভাগ। সাবেক ফিফা রেফারি হেড অফ রেফারিজ হিসেবে এই বিভাগে চাকরি করছেন।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের টানা চারবারের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস রেফারি নিয়ে চিঠি দিয়েছিল মাস দু’য়েক আগে। সেই চিঠিতে তারা কয়েকজন রেফারির নাম উল্লেখ করে তাদের ম্যাচে না দেওয়ার অনুরোধ করে ফেডারেশনকে। সেই চিঠিতে থাকা দুই/তিনজন রেফারিকে পরবর্তীতে ফেডারেশন আর কিংসের ম্যাচে দেয়নি। আজকের ম্যাচের রেফারি পরিবর্তনে সেই তালিকায় যোগ হলেন আরেক রেফারি। কিংসের প্রতিদ্বন্দ্বী ঢাকা আবাহনীও একজন রেফারির ব্যাপারে আপত্তি দিয়েছে। 

ক্লাবের পক্ষ থেকে এমন আবদারে ফেডারেশনও সায় দিচ্ছে। ক্লাবের অযৌক্তিক আবেদনে সাড়া দিয়ে ফেডারেশনও বৃহত্তর ক্ষতি করছে ফুটবলের। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের ক্লাব ও জাতীয় দলের পারফরম্যান্স ব্যাহত হচ্ছে। আজকে কিংসের ম্যাচ পরিচালনা করেছেন নাসির হোসেন। এই রেফারির প্রতি পক্ষপাত আচরণের অভিযোগ রয়েছে। গত লেগে কিংসের মিগুয়েল রহমতগঞ্জের খেলোয়াড়কে গলা চেপে ধরলেও নাসির ন্যূনতম হলুদ কার্ডও প্রদর্শন করেননি। কিংস যাদের ব্যাপারে আপত্তি দিয়েছে, সেই সকল রেফারিদের ম্যাচে হলুদ-লাল কার্ড হয় অনেক বেশি। এতে পরবর্তী ম্যাচগুলোতে সাসপেনশনের শঙ্কা জাগে। তাই সেই রেফারিদের এড়ানোর চেষ্টা তাদের! 

এজেড/এএইচএস