ঘরোয়া ফুটবলে বসুন্ধরা কিংস অপ্রতিরোধ্য শক্তি। সেই কিংসকে ২০২১-২২ মৌসুমে লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে হারিয়েছিল নবাগত স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। কিংসকে হারিয়েও স্বাধীনতা সেই লিগে টিকতে পারেনি। চ্যাম্পিয়শীপ লিগে এসেও অবনমিত হয়ে ক্লাবটির অবস্থান এখন সিনিয়র ডিভিশন লিগে। 

টানা দুই মৌসুম ব্যর্থতায় ক্লাবটির কর্মকর্তা পর্যায়ে রদবদল হয়েছে। নতুন কমিটির নেতৃত্বে আবার লিগের শীর্ষ স্তরে ফেরার প্রত্যয়। ক্লাবটির নতুন সভাপতি রূপসের সাফ কথা, ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য দল গড়েছি। খেলোয়াড়দের সুযোগ সুবিধায় কোনো ঘাটতি থাকবে না। ভালো থাকার জায়গা, ভালো খাবার জুটে না। তাদের ভালো না রেখে কি করে ভালো ফলাফলের আশা করা যায়? আমরা এগুলো নিশ্চিত করে খেলোয়াড়দের কাছে শিরোপা প্রত্যাশা করছি।’

ঈদের পর সিনিয়র ডিভিশন লিগ শুরু হওয়ার কথা। তবে এরই মধ্যে দল গঠনের কাজ শেষ করেছে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ৷ তৃণমূল পর্যায়ে দেশের অন্যতম সেরা কোচ কামাল বাবু। তিনি স্বাধীনতা নিয়ে আশার বাণীই শোনালেন, ‘আমরা সাদা দেশে ঘুরে খেলোয়াড় সংগ্রহ করেছি। চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় বিভাগ থেকে খেলোয়াড় এনেছি। তাদের ওপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে। ক্লাব কর্তারা কথা দিয়েছেন খেলোয়াড়দের প্রিমিয়ার মানের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করবেন। আমরাও আমাদের দিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। সেরার লক্ষ্য হয়েই খেলবো। তবে মনে রাখতে হবে শিরোপার সঙ্গে ভাগ্যও জড়িত।’

ক্লাবটির নতুন সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান কোচের ওপর ভরসা রেখে বলেন, ‘বাবু ভাই অত্যন্ত ভালো মানের কোচ। তিনি আমাদের সঙ্গে থাকায় অত্যন্ত আশাবাদী। তার কাছ থেকে শেখার অনেক কিছু আছে।’ ক্লাবের নতুন সভাপতি সৈয়দ গোলাম রুপসের আত্মবিশ্বাস খুব শিগগিরই প্রিমিয়ারে ফেরার, ‘আমাদের লক্ষ্য একটাই ধাপে ধাপে এগিয়ে যাওয়া। চ্যাম্পিয়ন হতে হতে প্রিমিয়ার লিগে ফেরা।’

২০২২ সালে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ শুধু বসুন্ধরা কিংসকে নয় সাইফ স্পোর্টিংকেও হারিয়েছিল। আবাহনী ও শেখ জামালের মতো জায়ান্ট দলকে রুখেছিল। দ্বিতীয় লেগে বিদেশি খেলোয়াড় ছাড়া খেলে এক ম্যাচ আগেই অবনমন নিশ্চিত হয় ক্লাবটির। রাজধানীর খিলগাঁওয়ের ফুটবলপ্রেমীদের মাধ্যমে এই ক্লাবের সৃষ্টি। পাইওনিয়ার থেকে ধাপে ধাপে উঠে ক্লাবটি প্রিমিয়ারে উঠেছিল ২০২২ সালে। 

এজেড/এফআই