ধারণা করা হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দাপুটে ক্রিকেট উপহার দেবে পাকিস্তান। একে তো ঘরের মাঠে খেলা, তার ওপর আইপিএলের কারণে কিউইরা প্রায় দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে গেছে। তবুও টানা দুই ম্যাচে হেরে সিরিজে পিছিয়ে গেছে বাবর আজমের দল। যা নিয়ে গতকাল (বৃহস্পতিবার) চতুর্থ ম্যাচ শেষে নিজেদের দুর্বলতা স্বীকার করেছেন অধিনায়ক বাবর ও কোচ আজহার মাহমুদ।

সিরিজে প্রথম টি-টোয়েন্টি ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের জয়ের পর তৃতীয় লড়াইয়ে জিতে সমতায় ফেরে অনভিজ্ঞ কিউই দল। এরপর চতুর্থ ম্যাচে খেলতে নেমে সফরকারীরা প্রথমে ব্যাট করে ১৭৯ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায়। সেই রানতাড়ায় পাকিস্তান থেমে যায় ১৭৪ রানে, অর্থাৎ ৪ রানে হেরে তারা সিরিজে পিছিয়ে গেল ২-১ ব্যবধানে। ফলে বাবরদের আর সিরিজটি জেতার সুযোগ নেই। কেবলমাত্র সিরিজটি শেষ করতে পারবে সমতা নিয়ে, তাই পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই স্বাগতিকদের সামনে।

ম্যাচ হারের জন্য বাবর দায়ী করেছেন নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতাকে, ‘আমরা খুব ভালো বোলিং করায় তাদের সীমিত রানে আটকে দিয়েছিলাম। আশা ছিল তাদের অন্তত ১৯০–২০০ রানে আটকে দেওয়া, বোলাররা সেটা বাস্তবায়ন করেছে। এটি চেজ করার মতো, কিন্তু আমাদের ব্যাটিং ধসে পড়েছিল। পাওয়ারপ্লে-তে দ্রুত ৩-৪টি উইকেট হারানোর পর ফখর (জামান) দুর্দান্ত খেলেছে। আমরা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে চেজ করতে চেয়েছি, কিন্তু সেটি পারিনি।’

বাবর নিজেও ম্যাচটিতে বলার মতো কিছু করতে পারেননি। ওপেনিংয়ে নেমে ফিরেছেন মাত্র ৫ রান করে। এছাড়া ইনজুরির কারণে একাদশে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনা হয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য এমন অদলবদল আরও করা হবে বলে জানিয়েছেন বাবর, ‘ইনজুরির কারণে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছিল, কিন্তু তরুণ ক্রিকেটাররা ভালো করেছে। আমরা বেঞ্চে থাকা ক্রিকেটারদের সামর্থ্য পরখ করতে চেয়েছিলাম, তাই ভিন্ন কম্বিনেশনে খেলতে চেয়েছি। আশা করি বিশ্বকাপের আগেই উপযুক্ত দল পেয়ে যাব।’

অন্যদিকে, কিছু দুর্বলতা থাকার পাশাপাশি ইতিবাচক দিকও খুঁজে পেয়েছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ আজহার মাহমুদ। সাবেক এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমাদের জন্য কিছু ইতিবাচক দিক আছে, আমরা নিউজিল্যান্ডের চেয়ে বেশি বাউন্ডারি মেরেছি। এমনকি বেশি ডট বলও দিয়েছি আমরা, তবে তারা ডাবল রান নেওয়ায় আমাদের চেয়ে এগিয়ে। এটাই আমাদের চিন্তার জায়গা, যা নিয়ে আমরা ধারবাহিকভাবে কাজ করছি।’

আজহার আরও বলেন, ‘আমরা সবসময় ইনটেন্ট নিয়ে কথা বলি। যেটা উসমান খান দেখিয়েছে, তার ব্যাটিংয়ে খুশি হয়েছি। সে কিছু ভালো শট খেলেছে, কিন্তু যেভাবে তার পারফরম্যান্স চেয়েছি সেটি পাইনি। আমরা আমাদের সেরা একাদশই বিশ্বকাপে খেলাব, তবে তার আগে বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করতে চাই। আমাদের প্রায় প্রতিটি জায়গার ফাঁকফোকর পূরণ হয়েছে। তবে কিছু ইনজুরির সমস্যা আছে, যা আসলে দুর্ভাগ্যের।’

এএইচএস