নারী ফুটবল তো বটেই, দেশের অন্য খেলার অনেক ক্রীড়াবিদদেরও আইকন সাবিনা খাতুন। সেই খাতুন তার ক্যারিয়ারের শুরুতে ভক্ত ছিলেন আরেক জনের। সেই ভক্তের নাম আজ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছেন লিগ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে।

লিগ শুরু একদিন আগে আজ বাফুফে ৯ দলের অধিনায়ককেই সংবাদ সম্মেলনে এনেছিল। প্রতি দলের অধিনায়ক নিজ দল সম্পর্কে বলছিলেন। নাসরিন স্পোর্টস একাডেমীর অধিনায়ক সাবিনা খাতুন তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে বলেন, 'খুব ভালো লাগছে। আমি যার ভক্ত সেই ইতি একটি ক্লাবের অধিনায়ক হিসেবে খেলছে।’ সুরভী আক্তার ইতি উত্তরা ফুটবল ক্লাব লিমিটেডের অধিনায়ক।

সংবাদ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে উৎসুক সাংবাদিকরা সাবিনাকে ঘিরে ধরেন। তখন অবশ্য সাবিনা ৯ দলের অধিনায়ককে সেলফিতে বন্দী করতে ব্যতিব্যস্ত। সাবিনার এই সেলফি গ্রহণের দৃশ্য ধারণ করতে আবার ফটোসাংবাদিকরাও ব্যস্ত। ছবি পর্ব শেষে ইতিকে নিয়ে সাবিনা বলেন, 'আমি যখন ফুটবল শুরু করি, তখন আসলে ইতিই আমার প্রথম ভক্ত। তার গতি, শট সব কিছুতেই আমি মুগ্ধ ছিলাম।'

সাবিনা এখন দেশের নারী ফুটবলের কিংবদন্তী। সাবিনার মুখ থেকে এমন প্রশংসা শুনে বেশ তৃপ্ত ইতি, 'সে আমার ভক্ত এটা আগেও বলেছে। আজ সবার সামনে যেভাবে বলল এটা আমার জন্য দারুণ গর্বের।'

সাবিনা বাংলাদেশ দলে যাত্রা শুরু করেছে ২০০৯-১০ মৌসুম থেকে। সাবিনার আগে জাতীয় দলের জার্সি পড়েছেন ইতি। যদিও সেই সময় বাংলাদেশের আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত ম্যাচ ছিল না। ইতি ২০১০ কক্সবাজার, ২০১৪ পাকিস্তান ও ২০১৬ শিলিগুড়ি সাফে বাংলাদেশ দলে ছিলেন।

বাংলাদেশে নারী ফুটবলাররা জাতীয় দলে থেকে ছিটকে পড়লেই জীবনের গতিপথ বদলে নেন। কেউ সংসারী হন, কেউবা অন্য খেলায় বা অন্য পেশায় যান। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ইতি। তিনি ফুটবলের সঙ্গেই রয়েছেন। এখনো খেলে চলছেন। এই ব্যাপারে তিনি বলেন, 'নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করি। খেলতে ভালোবাসি তাই এখনো খেলে যাচ্ছি, সব সময় অপেক্ষায় থাকি কখন লিগ হবে।'

বয়সটা ত্রিশের বেশি হলেও এখনো ফুটবলই সঙ্গী ইতির। জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেননি। তবে ফুটবলের দ্বিতীয় ধাপে এগিয়েছেন। সি লাইসেন্স কোচিং সনদ অর্জন করেছেন। নারায়ণগঞ্জে কোচিং করান। জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার তৃষ্ণা চাকমা এখন সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করছেন। সুযোগ পেলে ইতিও করতে চান, 'জাতীয় দলের সঙ্গে কে না কাজ করতে চায়, আমি কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। যদি কখনো সুযোগ পাই অবশ্যই জাতীয় দলে কাজ করতে চাই।’

এজেড/এইচজেএস