পালমারের গোলে সমতায় ফিরল ইংল্যান্ড
আরও একবার কাজে দিলো গ্যারেথ সাউথগেটের খেলোয়াড় বদল। চেলসিতে সবশেষ মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন কোল পালমার। বলতে গেলে তাদের একমাত্র তারকাই ছিলেন এই ইংলিশ উইঙ্গার। যদিও ইউরোতে কোনো ম্যাচেই ছিলেন না শুরুর একাদশে। বদলি নেমেছেন বারবার। ফাইনালেও হলো তাই। আর সেই মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই এলো পালমারের পা থেকে দুর্দান্ত এক গোল।
ডানপ্রান্তে ফাঁকায় বল পেয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন বুকায়ো সাকা। মার্ক কুকুরেয়াকে পেছনে ফেলে বল দিয়েছিলেন বক্সে। ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেও সেই বল বক্সের বাইরে পালমারের উদ্দেশ্যে ঠেলে দেন জ্যুড বেলিংহাম। ফাঁকা অবস্থায় ডিবক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে গোল করেন কোল পালমার। ৪৬ মিনিটে গোল হজমের পর ৭৩ মিনিটে সমতায় ফিরল ইংল্যান্ড।
বিজ্ঞাপন
বক্সের বাইরে থেকে নেয়া কোল পালমারের সেই শট ঠেকাবার কোনো সাধ্য ছিল না স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমনের। অবশ্য এর আগেও বেলিংহাম আর সাকারা একাধিকবার ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন। আক্রমণে ধার আনতে নিজেদের সেরা স্ট্রাইকার হ্যারি কেইনকেও উঠিয়ে নেন ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। শেষ পর্যন্ত কাজে এসেছে তার এই বদল।
বিজ্ঞাপন
এর আগে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই স্পেনকে লিড এনে দেন নিক উইলিয়ামস। দানি কার্ভাহালের কাছ থেকে বল পেয়ে স্প্যানিশ উইঙ্গার দিয়েছিলেন দুর্দান্ত এক রান। নিজের পজিশন তখনও পুরো আয়ত্বে আনা হয়নি কাইল ওয়াকারের। এগিয়ে এলেন আরও অনেকটা। তাতেই ফাঁকা হয়ে যান নিকো উইলিয়ামস।
ইয়ামালের পাস থেকে এরপর পিকফোর্ডকে পরাস্ত করেন নিচু এক শটে। মাঝে দানি ওলমোর ফলস রান বোকা বানালো ইংলিশ রক্ষণের সবাইকে। নিকো উইলিয়ামসের কাজটা তাতে হলো আরও সহজ। প্রথমার্ধের ম্যাড়ম্যাড়ে খেলার পর ফাইনালে লিড পেল স্পেন।
জেএ