ঘরোয়া ফুটবলের অন্যতম দুই সেরা কোচ মারুফুল হক ও সাইফুল বারী টিটু। আজ (মঙ্গলবার) চট্টগ্রাম আবাহনী ও শেখ রাসেলের মধ্যকার ম্যাচ হলেও ট্যাকনিক্যাল এরিয়ার লড়াইটাও ছিল দারুণ। নব্বই মিনিট শেষে মারুফুল হকের চট্টগ্রাম আবাহনী ২-০ গোলে টিটুর শেখ রাসেল কেসিকে হারিয়েছে। দ্বিতীয় লেগে মারুফুল জিতলেও প্রথম লেগে জিতেছিল টিটু। প্রথম লেগের ফলাফল ছিল শেখ রাসেল ১-০ চট্টগ্রাম আবাহনী। 

পয়েন্ট টেবিলে পাশাপাশি অবস্থানে শেখ রাসেল ও চট্টগ্রাম আবাহনীর। এই ম্যাচের আগে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে ছিল শেখ রাসেল। এক পয়েন্ট কম নিয়ে ঠিক পরের অবস্থানেই চট্টগ্রাম আবাহনী। এক ম্যাচ বেশি খেলে মোহামেডানকে টপকে চারে উঠার সুযোগ দুই দলের সামনেই। আগের ম্যাচের ফলাফলে বেশ উজ্জীবিত চট্টগ্রাম আবাহনী এই ম্যাচেও জিতেছে। 

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে শেখ রাসেলকে ২-০ গোলে হারিয়ে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম আবাহনী। এই জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠ স্থান থেকে চতুর্থ স্থানে উঠে এলো মারুফুলের শিষ্যর। মোহামেডানের সমান ২৮ পয়েন্ট হলেও গোল পার্থক্যে এগিয়ে আছে চট্টগ্রাম আবাহনী। আর শেখ রাসেল কেসি পাঁচ থেকে নেমে গেল ছয়ে।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শুরুর দিকেই লিড নিতে পারতো চট্টগ্রাম আবাহনী। ১৪ মিনিটে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন চট্টগ্রাম আবাহনীর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নিক্সন। নিজের কৌশল দেখাতে গিয়ে সময় নষ্ট করে সুযোগ হাতছাড়া করেন তিনি। তবে ৩৪ মিনিটে আর ভুল করেননি নিক্সন। তার অসাধারণ এক ভোলিতে ম্যাচে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। শূন্যে ভেসে থাকা বলে দারুণ শটে বল জালে জড়ান নিক্সন। 

প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে ব্যবধান বাড়ায় চট্টগ্রাম আবাহনী। দারুণ জায়গায় বল পেয়ে সুযোগ কাজে লাগাতে দেরি করেননি রাকিব হোসেন। দুই গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী।
 
বিরতি থেকে ফিরে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল শেখ রাসেল কেসি। ৬২ মিনিটে রাসেলের তাজিকিস্তানের ফুটবলার আসরোরোভ বলে পা ছোঁয়াতে পারলেই হয়তো জালের ঠিকানা খুঁজে পেত। ৭৯ মিনিটে ব্যবধান আরও বড় করার সুযোগ হাতছাড়া হয় চট্টগ্রাম আবাহনীর। রাকিব হোসেনের আলতো টোকায় গোল যখন হয়েই যাচ্ছিল, তখন দারুণ সেভ করেন শেখ রাসেলের গোলকিপার সবুজ দাস। এরপর খেলা অনেকটা মাঝ মাঠেই সীমাবদ্ধ ছিল। ফলে ২-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে শেখ রাসেলকে।

এজেড/টিআইএস