দ্বিতীয় লেগে দুর্বার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। টানা তিন ম্যাচে তিন জয় তুলে এখন আলোচনার শীর্ষে মোহামেডান। আলোচিত সেই দলের নেই হেড কোচ! প্রধান কোচ ছাড়াই তিন ম্যাচ জিতেছে সাদা-কালোরা। ম্যাচ চলাকালে ট্যাকনিক্যাল এরিয়াতে না থাকলেও অস্ট্রেলিয়া থেকে ব্রিটিশ কোচ শেন লি মূলত দল পরিচালনা করছেন। 

অস্ট্রেলিয়ার গোল্ডকোস্ট থেকে শেন লি ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন, ‘আমি অনেক দূরে অবস্থান করলেও সার্বক্ষণিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে সব সময়। ম্যাচের একাদশ আমিই ঠিক করি। অনুশীলন, ম্যাচ পরিকল্পনা আমি সাজাই।’

শেনের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করলেন সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও মোহামেডানের সহকারি কোচ আলফাজ আহমেদও, ‘প্রতিদিনই সে আমাকে অনুশীলন পরিকল্পনা দেয়। আমি তার পরিকল্পনা অনুযায়ী অনুশীলন করাই।’ টানা তিন জয়ের পেছনে খেলোয়াড়দের পাশাপাশি আলফাজকেও অবদান দিয়েছেন হেড কোচ শেন, ‘আমি পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দেই। কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন করাও গুরুত্বপূর্ণ। সে (আলফাজ) খুবই দারুণভাবে বাস্তবায়ন করছে।’

ম্যাচের একাদশ আগে ঠিক করা যায়। সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে খেলোয়াড় বদলের সিদ্ধান্তও নাকি শেনের। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘টি স্পোর্টসে আমি খেলাগুলো দেখি। হাফটাইমে আলফাজের সঙ্গে কথা বলি। আমার পর্যবেক্ষণ ও মতামত তাকে জানাই। সে সেই মোতাবেক কাজ করে।’ 

আলফাজ অবশ্য মোহামেডানের নতুন এই রূপের জন্য খেলোয়াড়দের পাশাপাশি ক্লাব ম্যানেজমেন্টকেও অবদান দিলেন, ‘প্রথম লেগেও এই ফুটবলারই ছিল। আমাদের ক্লাবের নির্বাচন হয়েছে সম্প্রতি। নতুন ফুটবল কমিটি হয়েছে। নতুন কমিটি খেলোয়াড়দের সুযোগ সুবিধা বাড়িয়েছে। ফুটবলাররা এতে উদ্দীপ্ত হয়েছে। পারফরম্যান্স বৃদ্ধিতে এটাও একটা ফ্যাক্টর।’ 

ফুটবলাররা এখন ছুটিতে আছেন। ২৫ মে থেকে আবার ক্যাম্প শুরু। কোচ শেন লি এসে এক মাস অনুশীলন করানোর সুযোগ পাবেন। পুনরায় লিগ শুরু হলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ঢাকা আবাহনীর বিরুদ্ধে ম্যাচ মোহামেডানের। সেই ম্যাচে জিততে চান শেন, ‘আমরা জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই। আগের লেগে ড্র করেছিলাম আবাহনীর সঙ্গে। আশা করি এই লেগে জিততে পারব।’ 

এজেড/এটি/টিআইএস