ফুটবল উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যাবেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। ফুটবল উন্নয়নের জন্য দুটি জিনিস প্রয়োজন তার দৃষ্টিতে, ‘উন্নতি করতে লাগবে ভিশন এর সাথে লাগবে অর্থ। শুধু অর্থ থাকলেই হবে না আবার শুধু ভিশন থাকলেই হবে না। দু’টিরই সমন্বয় লাগবে।’

বাফুফে ভিশন নিয়ে আর্থিক সহায়তার জন্যই মূলত প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবে। এই প্রসঙ্গে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘করোনাকালীন সময় কেটে গেলে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফুটবল নিয়ে আলোচনা করব। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা করব।’ সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়া না পাওয়ার উপরই মূূলত নির্ভর করছে ফুটবলের ভবিষ্যত,‘ সহায়তা পেলে ফুটবলে একটি সুন্দর এবং ভালো জায়গায় যাবে। না হলে এভাবেই চলে যাবে।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ তিন ক্লাবের কোচ ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসেছিলেন বাফুফে সভাপতি। ক্লাবগুলোর কোচের সঙ্গে জাতীয় দলের সিলেকশন ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করেছেন সালাউদ্দিন। বাফুফে সভাপতি বসুন্ধরা কিংস, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ও ঢাকা আবাহনীর কোচ এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বাফুফে সভাপতি। বৃহস্পতিবার সাইফ স্পোর্টিং, শেখ জামাল ও ঢাকা মোহামেডানের কোচ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন সালাউদ্দিন। 

নেপালে জাতীয় দলের ব্রিটিশ হেড কোচ জেমি ডে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন না করাতে পারায় তার প্রতি নাখোশ বাফুফে। কোচের দল নির্বাচন নিয়েও কি বাফুফে অসন্তুষ্ট? এমন প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য নেতিবাচক কিছু বলেননি সালাউদ্দিন,‘ জাতীয় দল গঠন হয় লিগের দুইশ ফুটবলারদের মধ্য থেকে। দুইশ ফুটবলারকে ক্লাব কোচরা কাছ থেকে দেখেন। তিন কোচই বলেছে দল নির্বাচন ঠিকই রয়েছে। এর বাইরে তেমন খেলোয়াড়ও নেই নেয়ার মতো।’

জাতীয় দলে প্রায় সব দু’একটি ক্লাব খেলোয়াড় ছাড়তে গড়িমসি। চলমান ক্যাম্পে ৩৩ জনের মধ্যে ১০ জনই কিংসের ফুটবলার। ক্লাবগুলোর খেলোয়াড় ছাড়া না ছাড়ার বিষয়ে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘ক্লাবগুলোরও অধিকার রয়েছে খেলোয়াড় তাদের কাছে রাখার। এ সব বিষয় নিয়েও কথাবার্তা হয়েছে। মাঝে মধ্যে খানিকটা মিস কমিউনিকেশন হয় এজন্য এ রকম হয়।’ 

এজেড/এটি/এনইউ