ছবি: সংগৃহীত

আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যু নিয়ে এবার বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সম্প্রতি এক তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাড়িতে মৃত্যুর সময়ে ছিল না কোনো মেডিক্যাল সুযোগ সুবিধা!

গেল ২৫ নভেম্বর বুয়েনোস এইরেসের টিগ্রেতে নিজ বাসভবনে মারা যান ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক ম্যারাডোনা। এর আগে গত ২ নভেম্বর লা প্লাতার এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার মস্তিষ্ক থেকে জমাট রক্ত বের করা হয়। মাত্র ৬০ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে যাওয়াটা আদৌ স্বাভাবিক ছিল কিনা, নাকি এর পেছনে দায় ছিলো কারো দায়িত্বে অবহেলার, এ প্রশ্নের জবাব গত বেশ কিছুদিন ধরেই খোঁজা হচ্ছে।

সেই তদন্তেরই এবার বেরিয়ে এসেছে ম্যারাডোনার হাসপাতাল অলিভোস ক্লিনিকের একটি প্রমাণপত্র। গত ৫ নভেম্বর ম্যারাডোনার কন্যারা তার ডাক্তার লিওপলদো লুক, সাইকিয়াট্রিস্ট দ্রা চোসাকভ ও ক্লিনিকটির ব্যবস্থাপক ডঃ পাবলো দিমিত্রফের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসেছিলেন। প্রমাণপত্রে সেই বৈঠকের ও ম্যারাডোনার চিকিৎসার বিবরণই উঠে এসেছে, যা তার মৃত্যুর জন্যে কে দায়ী সে ব্যাপারটির সুরাহা করতেও সাহায্য করবে বেশ। 

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ইনফোবেকে তদন্ত কর্মকর্তাদের একজন বলেন, ‘প্রমাণপত্রের একটা অংশে এ ব্যাপারটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে ম্যারাডোনা ঝুঁকিতে ছিলেন। আরেকটু পরিষ্কার করে বললে, ক্লিনিক থেকে তার ব্যক্তিগত ডাক্তারদের বলা হচ্ছিল যে পরিমিত ডোজ, যথাযথ পর্যবেক্ষণ, কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্রের ব্যবহার ও পুষ্টিগত পর্যবেক্ষণের পরেও ম্যারাডোনার চিকিৎসাপদ্ধতিটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। যেখানে তার বাড়িতে এর কিছুই ছিলো না!’ 

এনইউ/এটি