সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ফুটবল দলের অন্যতম সেরা ম্যাচের একটি কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র। অর্ধ লক্ষের বেশি ভারতীয় দর্শকের বিপক্ষে বাংলাদেশ ঐ ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছিল। আবার বছর পাঁচেক পর বাংলাদেশ ভারতে খেলতে যাচ্ছে। ২৫ মার্চ শিলংয়ে এশিয়া কাপ বাছাইয়ে সেই কলকাতার পারফরম্যান্সই চান বাংলাদেশ দলের নিয়মিত অধিনায়ক জামাল ভূইয়া। 

আজ জাতীয় দলের প্রথম অনুশীলনের দিন তিনি বলেন,‌ ‘সবাই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ চায়, এই ম্যাচ খেলতে চায়। আমি মনে করি, যারা এই দলে নাই, তারাও এই ম্যাচ খেলতে চায়। (ভারতে গিয়ে) আমরা সবশেষ ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে খেলছি ২০১৯ সালে, আমি সেই একই খেলা চাই, কিন্তু এবার তিন পয়েন্ট নিতে চায়।’ 

জাতীয় দলের সিনিয়র ফুটবলার ডিফেন্ডার রহমত মিয়াও ভারত ম্যাচ নিয়ে রোমাঞ্চিত। তার মন্তব্য, ‘আমরা (ভারতের মাঠে) সল্টলেকে সবশেষ ম্যাচ খেলেছিলাম, ওটা হয়েছিল ২০১৯ সালে, সেই ম্যাচের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, অন্যান্য যে দলের বিপক্ষে খেলি না কেন, ভারত যতই এগিয়ে যাক না কেন, অবশ্যই আমাদের থেকে এগিয়ে, অবশ্যই ভালো দল, কিন্তু যখন ভারতে বিপক্ষে ম্যাচ খেলা হয়, তখন আমাদের মধ্যে আলাদা একটা স্পিরিট কাজ করে। সবসময় ওদের বিপক্ষে ম্যাচে আমাদের মধ্যে একটা স্পিরিট থাকে, ভালো করার তাড়না থাকে।’

জাতীয় দলের হেড কোচ স্প্যানিশ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা বলেন, ‘আমরা শারীরিক এবং মানসিকভাবে ভারত ম্যাচের জন্য প্রস্তুত। আগেও বলেছি উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ হবে, ছেলেরা ম্যাচটি নিয়ে দারুণ অনুপ্রাণিত। আমি মনে করি, পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছি, আমরা যথেষ্ট প্রস্তুত নিতে পারব এবং ভারতের বিপক্ষে দারুণ কিছু পাওয়ার সুযোগ থাকবে আমাদের।' 

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বাংলাদেশের চেয়ে ফুটবল র‍্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে। মুখোমুখি লড়াইয়ে তারা অগ্রগণ্য এরপরও জামাল আশাবাদী, ‘অবশ্যই আমরা ভালো কিছু আশা করি। যদি হেড টু হেড হিসাব করি তাহলে আমি মনে করি, তাদের সাথে আমাদের অনেক বড় পার্থক্য আছে। তবে, আমরা প্রত্যাশা করি, একটা ইতিবাচক ফল। অবশ্যই আমরা তিন পয়েন্ট নিতে চাই।’  

 

ভারত ম্যাচে খেলার কথা রয়েছে হামজা চৌধুরির। তাকে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা খেলোয়াড় হিসেবে আখ্যায়িত করে জামাল বলেন, ‘আমি মনে করি, এই দলে হামজা সেরা প্লেয়ার এবং সম্ভবত এই সাউথ এশিয়াতেও সেরা খেলোয়াড়। হামজা এলে সেটা সম্ভবত টিমের জন্য সেরা বুস্ট আপ হবে।’ হামজা ১৮ মার্চ বাংলাদেশ দলে যোগ দেয়ার কথা। ম্যাচের আগে এই এক সপ্তাহ সময় যথার্থ বলছেন তিনি, ‘৭-৮ দিনের মতো পাবে সে দলের সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য। তার সাথেও যোগাযোগ হয়েছে। আমার বিশ্বাস সে আমাদের সাথে মানিয়ে নিতে পারবে।’ 

এজেড/জেএ