ক্রেস্ট ও ফুল দেয়াই যার আনন্দ
বাঁ-থেকে দ্বিতীয় পিন্টু
ক্রীড়াঙ্গনে অনেক চরিত্রের ব্যক্তি পাওয়া যায়। অতি সম্প্রতি চলে গেলেন মনসুর আলী। যিনি প্রেস বিজ্ঞপ্তি নিয়ে ঘুরতেন সব সময়। ক্রীড়াঙ্গনে এ রকমই আরেক বিচিত্র চরিত্রের একজন আকিব হোসেন পিন্টু। যিনি ক্ষুদ্র ফুল ব্যবসায়ী। এই ক্রীড়াপ্রেমী এখন পর্যন্ত ক্রীড়াঙ্গনের ১৩১ জনকে ক্রেস্ট ও ফুল দিয়েছেন। এই ফুল ও ক্রেস্ট দেয়াই তার শখ ও আনন্দ।
২৭ মে ১৩১তম ক্রেস্ট উপহার দিয়েছেন সাবেক ফিফা রেফারি ও বর্তমান ম্যাচ কমিশনার সুজিত ব্যানার্জী চন্দনকে। এর আগে দিয়েছেন কৃতি রেফারি আজাদ রহমানকে। রেফারি ছাড়াও ক্রীড়াবিদ, সংগঠক, ধারাভাষ্যকার, সাংবাদিক অনেককেই ক্রেস্ট দিয়েছেন পিন্টু।
বিজ্ঞাপন
বসুন্ধরা কিংস ও ঢাকা আবাহনীর ম্যাচ দিয়ে রেফারিং থেকে অবসরে যান সাবেক ফিফা রেফারি সুজিত। ওই দিন অসংখ্য সংস্থা ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়। তবে পিন্টুর এই ক্রেস্ট ও ফুলের শুভেচ্ছা খানিকটা ব্যতিক্রমই লেগেছে বর্তমান ম্যাচ কমিশনারের কাছে, ‘যে কোনো খেলাধুলার প্রাণ দর্শক বা সমর্থক, রেফারিরা অনেকটা দর্শক এবং সমর্থকদের দূরেই থাকে। একজন সমর্থক যখন রেফারিকে ভালোবাসা প্রদর্শন করেন, এর চেয়ে সুখানুভূতি আর হতে পারে না।’
পিন্টু স্রেফ একজন ক্রীড়াপ্রেমী। দুই দশকের বেশি সময় যাবত বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলা দেখেন। শাহবাগে ফুলের ব্যবসা করেন। খেলা দেখতে দেখতেই মনে বাসা বাধে ক্রীড়াঙ্গনের প্রিয় মানুষদের ক্রেস্ট ও ফুলের শুভেচ্ছা দেওয়ার। ২০০৬ সাল থেকে তিনি এই অভ্যাস গড়ে তুলেছেন।
বিজ্ঞাপন
ব্যতিক্রমী এই ইচ্ছের কারণ সম্পর্কে পিন্টু বলেন, ‘আমি খেলাধুলা খুবই পছন্দ করি। নিজে খেলি না আবার সংগঠকও না। এরপরও ক্রীড়াঙ্গনের মানুষের কাছে আমার স্মৃতি থাকুক। সেই ভাবনা থেকেই ক্রেস্ট দেওয়া। আর যেহেতু ফুলের ব্যবসা করি এজন্য ফুলও দিয়ে থাকি।’
ব্যবসা করলেও বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অধিকাংশ ম্যাচই দেখেন পিন্টু, ‘ফুলের ব্যবসায় মূলত সকালেই চাপ। সকালে ব্যবসায়িক কাজ শেষ করে বিশ্রাম নিয়ে বিকেলে স্টেডিয়ামে এসে খেলা দেখি।’
অনেক দিন থেকে খেলা দেখলেও বিশেষ কোনো দলের প্রতি সমর্থন বা কোনো দলের সমর্থকগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত নন পিন্টু। মনের আনন্দে খেলা দেখেন এবং সেই আনন্দ ক্রেস্ট দিয়ে ভাগাভাগি করেন।
এজেড/টিআইএস