‘এ’ দল ঠিক কেমন হওয়া উচিত, বাংলাদেশকে যেন সেই বার্তাই দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। কিউইদের ‘এ’ দলকে সামাল দিতে বাংলাদেশের ঘোষিত স্কোয়াডে আছেন মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, এনামুল হক বিজয় কিংবা নুরুল হাসান সোহানদের মতো জাতীয় দলে খেলা অভিজ্ঞ তারকারা। 

যদিও ‘এ’ দলের মূল ভিত্তি উদীয়মান ক্রিকেটারদের পরখ করে নেয়া। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড হেঁটেছে সেই পথেই। জাতীয় দলে সদ্য অভিষেক হওয়া ৯ জনকে তারা রেখেছে স্কোয়াডে। সবচেয়ে বেশি ১৭ ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিয়ে ‘এ’ দলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন মিচেল হে। এছাড়া আছেন সদ্য জাতীয় দলের স্বাদ পাওয়া রাইস মারিউ এবং মোহাম্মাদ আব্বাস। 

সাদা বলের সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দেবেন নিক কেলি। জাতীয় দলের হয়ে তিনি খেলেছেন মোটে তিনটি ওয়ানডে। আর লাল বলের সিরিজে অধিনায়ক জো কার্টার, তার এখনও আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়নি।

খুব নামী তারকা না থাকলেও ঘোষিত দলের প্রায় সবাই নিজেদের সবশেষ ঘরোয়া মৌসুমে ছিলেন দুর্দান্ত ধারাবাহিক। ক্যান্টারবেরি প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার ম্যাট বয়েল, ওটাগো ভোল্টস প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার ডেল ফিলিপ্স এবং সেন্ট্রাল স্ট্যাগস ফোর্ড ট্রফির সেরা খেলোয়াড় কার্টিস হ্যাফি আছেন দলে। তাদের প্রত্যেকেই সবশেষ ঘরোয়া মৌসুমে ১ হাজারের বেশি রান করেছেন। 

আগামী ১ মে বাংলাদেশে এসে পৌছাবে নিউজিল্যান্ড 'এ' দল। ৫ মে সিলেটে শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ। সেখানেই সিরিজের পরের দুটি ম্যাচ ৭ ও ১০ মে। সিরিজের তিনটি ম্যাচই শুরু হবে সকাল সাড়ে ৯টায়। এরপরেই হবে দুটি চারদিনের ম্যাচ। প্রথম চারদিনের ম্যাচটিও হবে সিলেটে, যা শুরু হবে ১৪ মে। মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২১ মে শুরু হবে সিরিজের শেষ ম্যাচ।

একনজরে দুই দলের স্কোয়াড

বাংলাদেশ 'এ' দল: পারভেজ হোসেন ইমন, নাঈম শেখ, এনামুল হক বিজয়, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, সাইফ হাসান, ইয়াসির আলী চৌধুরী, নুরুল হাসান সোহান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, তানভির ইসলাম, নাঈম হাসান, এবাদত হোসেন চৌধুরী, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, রেজাউর রহমান রাজা।

নিউজিল্যান্ড 'এ' দল: মোহাম্মদ আব্বাস, আদিল অশোক, ম্যাট বয়েল, জো কার্টার (লাল বলের অধিনায়ক), ক্রিশ্চিয়ান ক্লার্ক, জশ ক্লার্কসন, জ্যাক ফকস, ডিন ফক্সক্রফট, মিচ হে, কার্টিস হ্যাফি, নিক কেলি (সাদা বলের অধিনায়ক), জায়ডেন লেনক্স, বেন লিস্টার, রিস মারিউ, ডেল ফিলিপস।

জেএ