উচ্ছ্বসিত মুলার, ভূপাতিত প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক; এমন দৃশ্যের দেখা মিলল তিন বছর পর/এপি

৭-১। স্কোরলাইনটা পরিচিত ঠেকছে? ব্রাজিলের সেই দুঃস্বপ্নের মিনোইরাজো ট্র্যাজেডি কি এতো তাড়াতাড়ি ভোলা সম্ভব? সাত বছর পর প্রতিপক্ষের জালে সেই সাত গোল জড়িয়ে, একটা হজম করে জার্মানি ফেরাল সেই স্মৃতি। তাতে ইউরোর আগে দলটার আত্মবিশ্বাসের উনুনে পড়ল বাড়তি জ্বালানি। আত্মবিশ্বাসটা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে দলে ফিরেই তিন বছর পর দলের অন্যতম সফল ফরোয়ার্ড থমাস মুলারের গোল।

ফিফার ক্রমতালিকায় ১৩৮ নম্বরে থাকা লাটভিয়ার বিপক্ষে জার্মানির এমন পারফর্ম্যান্স অবশ্য অনুমিতই ছিল। পুরো ম্যাচে নিজেদের অর্ধেই আটকে রেখেছিল জার্মানি, খেলাটা ছিল একমুখী চলাচলের।

ইউরোয় আগামী ১২ জুন ফ্রান্সের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে দলটি। এর আগে এটাই ছিল জার্মানদের শেষ ওয়ার্ম আপ ম্যাচ। আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে ২ বছরের জন্য নির্বাসিত ছিলেন মুলার। ফিরে এসে প্রথম বার স্কোরশিটে নাম তুললেন তিনি।

মুলার তো করলেনই, সেই সঙ্গে গোল পেলেন টিমো ভের্নার এবং ইলকায় গুন্দোয়ানও। যারই ফল, এই ৭-১ ব্যবধানের জয়। জার্মানির হয়ে এদিন শততম ম্যাচে নেমেছিলেন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার। জার্মানির প্রথম কোনো গোলরক্ষক এই কীর্তি গড়লেন। এমন কীর্তির দিনে এমন এক জয় অধিনায়ককে জার্মানদের পক্ষ থেকে দারুণ এক উপহারই হয়ে এল।

তবে এরপর মুলার জানালেন, ফলাফলের চেয়েও বড় করে দেখছেন দলের খেলার ধরণকে। বললেন, ‘ফলাফল কী হয়েছে তা নিয়ে ভাবছি না। আমরা যে ভাবে ফুটবলটা খেলতে চেয়েছি সেটা পেরেছি। এটাই সব চেয়ে বড় কথা।’

লাটভিয়ার বিরুদ্ধে সহজেই জয় এসেছে। তবে ফ্রান্স যে তাদের চেয়ে যোজন যোজন ব্যবধানে এগিয়ে, তা মগজ থেকে খসে যায়নি মুলারদের। বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে লড়াইটা যে এত সহজ হবে না, তা মেনে নিচ্ছেন জার্মান ফুটবলার। মুলারের কথা, ‘এই জয় স্বস্তি দিচ্ছে, তবে ফ্রান্স হবে ভিন্ন প্রতিপক্ষ, সেই লড়াই যে কঠিন হবে তা ভুলে যাইনি আমরা।’ 

এনইউ/এটি