এক সময় ঘরোয়া ফুটবলে জুনিয়র লিগ থেকে অনেক ফুটবলার উঠে আসতো। গত এক দশকে সেই ধারা অনেকটাই বন্ধ। জুনিয়র বিভাগের লিগগুলো যেমন ছিল অনিয়মিত পাশাপাশি ছিল অব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনাহীন। জুনিয়র ডিভিশনগুলো থেকে ঝাকে ঝাকে ফুটবলার আসুক এমনটাই চাওয়া মহানগর ফুটবল লিগ কমিটির নতুন চেয়ারম্যান ও বাফুফে সহ-সভাপতি ইমরুল হাসানের। 

চাওয়ার সাথে খানিকটা পরিকল্পনাও যোগ করেছেন এই সংগঠক, ‘আমাদের পাইওনিয়ার লিগটি হয় অনুর্ধ্ব ১৬ কেন্দ্রিক। তৃতীয় বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগে কোনো বয়সসীমা নেই। জুনিয়র লিগগুলো বয়স ভিত্তিক হলে অনেক ফুটবলার উঠে আসার পাশাপাশি টিকে থাকার একটা ক্ষেত্র তৈরি হবে।’ সহ-সভাপতির প্রাথমিক ভাবনা, ‘ইতোমধ্যে তৃতীয় বিভাগ লিগ শুরু হয়েছে। এই বছর বা মৌসুমে হয়তো সম্ভব নয়। আগামী মৌসুমে আমরা তৃতীয় বিভাগ লিগটি অনুর্ধ্ব ১৮ হতে পারে। মহানগরী লিগ কমিটির সভায় আমরা এটি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্তে আসব শীঘ্রই।’

তৃতীয় বিভাগ লিগ করোনার জন্য মাঝে স্থগিত হলেও এখন আবার শুরু হচ্ছে। তৃতীয় বিভাগের পর ধাপে ধাপে দ্বিতীয় ও সিনিয়র ডিভিশন লিগ আয়োজন করার পরিকল্পনা। এই চক্রাকারেই প্রতি বছর নিয়মিত খেলা আয়োজন করতে চান তিনি। ঘরোয়া ফুটবলে দেখা গেছে একই বছরে তৃতীয়, দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল হলে একই ফুটবলার দুই লিগেই খেলছেন। সেক্ষেত্রে ফুটবলার সংকট থেকেই যায়। এই প্রসঙ্গে মহানগর ফুটবল লিগ কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘তৃতীয় বিভাগ লিগটি অ-১৮ হলে, দ্বিতীয় বিভাগ অনুর্ধ্ব ২১ হবে। ফলে এক বিভাগের ফুটবলার আরেক বিভাগে খেলতে পারবে না। সিনিয়র ডিভিশনের পরবর্তী পর্যায় যেহেতু চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ ফলে সিনিয়র ডিভিশন উন্মুক্ত থাকতে পারে।’

বয়স ভিত্তিক টুর্নামেন্ট মানেই বয়স কারচুপি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ বয়সভিত্তিক হলে ফুটবলার উঠে আসার ক্ষেত্র তৈরি হবে। কিন্তু সঠিক বয়স নিরুপণ করাটা হবে বড় চ্যালেঞ্জিং। এজন্য তিনি একটি সিস্টেম দাড় করাতে চান, ‘তৃতীয়, দ্বিতীয় ও সিনিয়র ডিভিশন লিগ মিলিয়ে প্রায় পঞ্চাশটির কাছাকাছি ক্লাব। এই ক্লাবগুলোতে কয়েক হাজার ফুটবলার খেলে। আমরা চেষ্টা করব খেলোয়াড়দের সকল তথ্য রাখতে। এতে অনেক বিতর্ক ও সমস্যা এড়ানো যাবে।’

পাতানো খেলা ও সমঝোতার ম্যাচ ফুটবলের ক্যান্সার। মিডিয়ার নজরদাড়ির জন্য প্রিমিয়ার লিগে সাম্প্রতিক সময়ে পাতানো ম্যাচের অভিযোগ খানিকটা কম হলেও জুনিয়র ডিভিশন লিগগুলোতে চলে পাতানো ম্যাচের উৎসব। নতুন কমিটি শুরু থেকেই শক্ত হাতে দমন করতে চান এই পাতানো ইস্যু, ‘পাতানোর ব্যাপারে আমাদের কমিটি শুরু থেকে জিরো টলারেন্স। কোনো অভিযোগ উঠলেই এর সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্ত হবে পাশাপাশি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করা হবে যাতে অন্যরা এতে ভবিষ্যতে এগুলো না করে।’

এজেড/এটি