ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ব্যক্তিগত জীবনে বেশ স্বাস্থ্যসচেতন। নাহয় ৩৬ বছর বয়সে এসেও কি আর এতটা ফিট থাকা যায়, এভাবে পারফর্ম করা যায়? তবে সম্প্রতি কোকাকোলার বোতল সরিয়ে রাখার কাজটা যে করেছেন, তা স্বাস্থ্য সচেতনতা থেকে করেছেন কিনা তা এখনো জানা যায়নি। তবে তাতেই যা ক্ষতি হওয়ার, হয়ে গেছে কোকাকোলার। এক দিনের ব্যবধানে তারা গুনেছে ৩৪ হাজার কোটি টাকা সমমানের ক্ষতি।

হাঙ্গেরির বিপক্ষে ম্যাচের আগে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো তার কোচ ফের্নান্দো সান্তোসের সঙ্গে এসেছিলেন সংবাদ সম্মেলনে। দুটো কোকের বোতল রাখা ছিল সামনে, রোনালদো সেসব সরিয়ে দিয়ে টেনে নেন পানির বোতলটা। ইশারায় বুঝিয়ে দেন, পানিই তার বেশি পছন্দের।

রোনালদোর এই না করার পর চকিতেই শেয়ারবাজারে কোকাকোলার ব্র্যান্ড মূল্য পড়ে গেছে ৪০ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা! এ ঘটনার আধঘণ্টা আগে খোলা হয় ইউরোপের শেয়ারবাজার, তখন কোকাকোলার বাজারদর ছিল ৫৬.১০ ডলার, আর রোনালদো কাণ্ডের পর তা নেমে আসে ৫৫.২২ ডলারে। এর মানে শেয়ারের ১.৬ শতাংশ দাম হারিয়ে ফেলেছে কোকাকোলা, প্রতিষ্ঠানের মূল্য ২৪ হাজার ২০০ কোটি ডলারে থেকে পড়ে গেছে ২৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে।

ইউরোর অফিসিয়াল স্পনসর কোকাকোলার ভেতরে সন্দেহ রোনালদো পেপসির সঙ্গে জোট বেধে তাদের এ বড় ক্ষতিটা করেছেন। তবে তার প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি পেপসির দূতিয়ালি করলেও রোনালদোর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই কোকাকোলার প্রতিদ্বন্দ্বীর।

তবে রোনালদো যে ব্যক্তি জীবনে বেশ পরিমিত খাদ্যাভ্যাসে বিশ্বাসী আর তাতে কোমল পানীয়ের ঠাই নেই, তা জানা গিয়েছিল তার সাবেক সতীর্থ প্যাট্রিস এভরার ভাষ্য থেকে। তিনি বলেছিলেন, ‘ওর বাসায় গিয়েছিলাম খুব ক্ষুধা নিয়ে, কিন্তু সেখানে গিয়ে সালাদ, মুরগির বুকের মাংস আর পানি ছাড়া আর কিচ্ছুটি পাইনি।’

স্বাস্থ্যসচেতন রোনালদো ছেলেকেও এ ধরণের খাবার থেকে বাঁচিয়ে রাখেন। অনেক আগে একবার জানিয়েছিলেন, চিপস বা কোমল পানীয় খেতেই দেন না তাকে। তবে সে থেকেই এই কোক সরিয়ে রাখার কাণ্ড করেছেন কিনা, তা নিয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।

এনইউ