বয়সকে তুড়ি মেরে এগিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ৩৬ পেরিয়েও সতেজ। মাঠে নেমেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো গড়ে ফেলেছিলেন ইউরোয় সবচেয়ে বেশি আসরে উপস্থিতির রেকর্ড। তারপর বল পায়ে যাদু দেখালেন তিনি। গড়লেন আরও একাধিক রেকর্ড। তার দল হাঙ্গেরিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে করল ইউরোয় শুভসূচনা। চ্যাম্পিয়ন পর্তুগালের পথচলা শুরু হয়েছে ঠিক চ্যাম্পিয়নের মতো। 

মঙ্গলবার রাতে বুদাপেস্টের পুসকাস স্টেডিয়ামে জোড়া গোল করলেন রোনালদো। একইসঙ্গে একাধিক রেকর্ডও গড়লেন এই মহাতারকা। এমন কিছু রেকর্ড সঙ্গী হলো ফুটবল বিশ্বে যা আগে কখনো দেখা যায়নি। 

চলুন দেখে নেই এক রাতে রোনালদোর গড়া সেই ৫ রেকর্ড-

১. বিশ্বের প্রথম ও একমাত্র ফুটবলার হিসেবে ৫টি ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ খেলার রেকর্ড গড়লেন রোনালদো। ২০০৪, ২০০৮, ২০১২, ২০১৬ ইউরোর পর চলতি ইউরোতে খেলছেন তিনি। বিস্ময়কর তবে সত্য-পাঁচবারই গোল পেয়েছেন তিনি।

২. পাঁচবারের ব্যালন ডি' অর চ্যাম্পিয়ন রোনালদো। এদিন পর্তুগালের হয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ও বিশ্বকাপ মিলিয়ে ৩৯তম ম্যাচ খেললেন তিনি। এর আগে কোনও ইউরোপিয়ান ফুটবলার হিসেবে এই রেকর্ড ছিল জার্মানির বাস্তিন সোয়াইনস্টাইগারের। তিনি দেশের হয়ে ৩৮টি ম্যাচ খেলেছেন বিশ্বকাপ ও ইউরোতে। তাকে টপকে গেলেন রোনালদো।

৩. পর্তুগালের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। হাঙ্গেরির বিপক্ষে জোড়া গোলের পর অবস্থান আরও সুসংহত হলো। মোট গোল ১০৬টি।

৪.  ফ্রান্সের কিংবদন্তি মিশেল প্লাটিনি ৯ গোল করে এতোদিন ছিলেন ইউরোর সর্বোচ্চ গোলদাতা। সিআর-সেভেন পেছনে ফেললেন তাকে। রোনালদোর গোল সংখ্যা এখন ১১টি।

৫. ইউরো চ্যাম্পিয়শিপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী ফুটবলার হিসাবে কোনও ম্যাচে ২ বা তার বেশি গোল করার রেকর্ড ছিল ইউক্রেনের অ্যান্ড্রি শেভচেঙ্কোর। ২০১২ সালের ইউরোতে দেশের হয়ে তিনি এক ম্যাচে ২ বা তার বেশি গোল করেন ৩৫ বছর ২৫৬ দিনে। তাকেও এবার পেছনে ফেললেন রোনালদো। হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে খেলার দিন সিআর-সেভেনের বয়স ছিল ৩৫ বছর ৩৫৬ দিন। বয়স আসলেই রোনালদোর কাছে নিছকই সংখ্যা মাত্র!

এটি/এনইউ