২০২০-২১ মৌসুম শেষ হওয়ার পর ব্রাজিলের হয়ে যেন নেইমার রীতিমতো অদম্য। টানা চার ম্যাচে পেয়েছেন গোল। সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও চারটি। তার এমন পারফর্ম্যান্সে সেলেসাওরাও বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব আর কোপা আমেরিকা মিলিয়ে তুলে নিয়েছে টানা চার ম্যাচে চার জয়। যার শেষটা এসেছে আজ শুক্রবার। পেরুর বিপক্ষে দলকে ম্যাচ জেতানো পারফর্ম্যান্সের পর তিনি কেঁদেই ফেললেন।

কেন কাঁদলেন তিনি? এ ম্যাচে যে একটা বিরল কীর্তির খুব কাছে চলে এসেছেন! পেরুর বিপক্ষে গোলটা তাকে নিয়ে এসেছে পেলের ৭৭ গোলের রেকর্ড থেকে ৯ গোলের দূরত্বে। এমন এক কীর্তি, যা কখনো স্বপ্নেও কল্পনা করেননি নেইমার। 

এত কিছুর পরেও তিনি চলে এসেছেন পেলের রেকর্ড থেকে হাতছোঁয়া দূরত্বে। ম্যাচ শেষে তাই আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না তিনি। বললেন, ‘ব্রাজিলীয় দলের ইতিহাসের অংশ হতে পারা আমার জন্য নিঃসন্দেহে সম্মানের। সত্যি বলতে ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল ব্রাজিলের জার্সিটা গায়ে দেওয়া, ব্রাজিলের জাতীয় দলের হয়ে খেলা। এমন কিছুর কথা আমি কখনোই কল্পনা করিনি।’

শেষ দুই বছর, সময়টা ভালো কাটেনি নেইমারের। চোটে পড়েছেন, যার ফলে ২০১৯ সালে যখন ব্রাজিল জিতেছে কোপা আমেরিকা, তখন তিনি ছিলেন দলের বাইরে। এরপর ধর্ষণের মামলায় লড়তে হয়েছে তাকে। সদ্যসমাপ্ত মৌসুমে পিএসজির হয়ে কিছুই না জেতায় পড়তে হয়েছে সমালোচনার মুখেও। 

সব কিছু মিলিয়ে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না তার, সে দুঃসময়কে পেছনে ফেলে জাতীয় দলে এসে আবারও পারফর্ম করছেন তিনি। তার পর তো আবেগাক্রান্ত হওয়াটা স্বাভাবিকই।

নেইমার বললেন, ‘আনন্দটা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে শেষ দুই বছরে সব অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিগুলো। সে সময়গুলো অনেক কঠিন ও জটিল ছিল। তবে আমি আনন্দিত, কারণ আমি ব্রাজিলের হয়ে খেলে যাচ্ছি। আমার দেশ, আমার পরিবারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটা আনন্দের।’

তবে নেইমারের কাজটা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। দলকে যে কোপা আমেরিকা জেতানোটা বাকি। সে অসমাপ্ত কাজটা শেষ করার পথে আরেক ধাপ এগোতে নিজেদের পরবর্তী গ্রুপ ম্যাচে নামবে নেইমারের ব্রাজিল। আগামী ২৪ জুন নিজেদের তৃতীয় কোপা আমেরিকা ম্যাচে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবেন তিতের শিষ্যরা।  

এনইউ