লিভারপুলে ৯ বছরের কোচিং অধ্যায় শেষে ২০২৪ সালে মে দায়িত্ব থেকেই সরে দাঁড়ান ইয়ুর্গেন ক্লপ। জার্মান এই কিংবদন্তি কোচ বর্তমানে রেড বুল গ্রুপের ‘হেড অব সকার’ পদে নিয়োজিত আছেন। তবে ক্লপ এখনও এলিট লেভেলের চাহিদাসম্পন্ন কোচদের একজন। তার মতে– কোচের দায়িত্বে থাকাকালে পুরোদমে ফুটবলেই ডুবে থাকতেন বলে অন্য কিছুতে মনোযোগ দেওয়ার সময় পাননি।

সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য অ্যাথলেটিক’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই কথা জানান বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ও লিভারপুলের সাবেক এই কোচ। ক্লপ বলেন, ‘আমি আমার জীবনে কোনো কিছুই মিস করিনি, কারণ আমি সেসব নিয়ে ভাবতাম না। গত ২৫ বছরে আমি মাত্র দুটো বিয়েতে গিয়েছি, এর মধ্যে একটি নিজের এবং আরেকটি দুই মাস আগে। ২৫ বছরে আমি মাত্র চারবার সিনেমা হলে গিয়েছি, এর সবগুলোই গত আট সপ্তাহে (কোচিং ছাড়ার পর)। এখন এসব করা (বিভিন্ন বিষয়ে সংযুক্ত হওয়া) দারুণ ব্যাপার।’

মূলত কোচিং এবং ফুটবলেই সার্বক্ষণিক মনোনিবেশ করতেন বলে বাইরের বিষয় অতটা ভাবাতো না ক্লপকে। ফলে অনেক বিষয় তিনি মিস করেছেন বলেও কোনো আক্ষেপ নেই তার, ‘আমি কোচ হিসেবে অনেক দেশে গিয়েছি এবং আমি সেখানকার কিছুই দেখিনি। কেবল হোটেল থেকে স্টেডিয়াম কিংবা অনুশীলন মাঠ, এর বাইরে আর কোথাও না (যাইনি)। আমি অন্য বিষয় মিসও করতাম না। কিন্তু এখন করি।’

ক্লপের অধীনে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ বেশকিছু মেজর ট্রফি জিতেছে লিভারপুল। পরে তার সেই আধিপত্যে ভাগ বসান ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা। ক্লপের সাক্ষাৎকারে উঠে আসে তার প্রিয় অভিনেতার কথাও, ‘সেরা সিনেমা তারকার কথা মনে করুন, আমার কাছে ড্যানিয়েল ক্রেগ, জেমস বন্ড (চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছেন)। এখন তিনি কোথায় আছেন? কী করেন? কিন্তু শেষমেষ তিনি সকালে উঠে দাঁত ব্রাশ করেন। তিনি একটি সিনেমা সেটে ছিলেন, কিন্তু যেটা আমরা দেখি সেখানে নয়। একই দৃশ্য তাকে হয়তো ২৫ বার ধারণ করতে হয়। আপনি হয়তো এসব বিষয় ভাববেন না, তবে আমার জীবনও এমনই ছিল।’

এরপরই গার্দিওলার প্রসঙ্গ উঠে আসে ক্লপের কথায়, ‘আমি জানি প্রায় সকল ফুটবল ম্যানেজারের জীবনচক্র কেমন। তারা চাকরির জন্য বাঁচেন। এই উপায়ে চলা ছাড়া আপনি সফল হতে পারবেন না। তাকেও (গার্দিওলা) আমি এই কথা বলেছিলাম, বয়সের সঙ্গে তিনি গলফ খেলায় উন্নতি করেছেন। অথচ আমার গলফ খেলার সময় কোথায়! এই কারণেই তিনি জিনিয়াস, আমি নই। আপনি কখন গলফ খেলবেন? আমি তো বিশ্বাসই করতে পারি না।’

এএইচএস