ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ
বার্সেলোনা-লিভারপুলের মতো ক্লাবের কপাল খুলছে
প্রথমবারের মতো ৩২টি দল নিয়ে গত জুন-জুলাইতে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বড় পরিসরের প্রথম এই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় চেলসি। অথচ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের লিভারপুল এবং লা লিগায় সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা খেলতে পারেনি ক্লাব বিশ্বকাপে। যা নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। এরই প্রেক্ষিতে ফিফা মেগা এই টুর্নামেন্টের পরবর্তী আসরে প্রতিযোগীর সংখ্যা বাড়িয়ে ৪৮ করা হবে।
সর্বশেষ ক্লাব বিশ্বকাপে প্যারিস সেন্ট জার্মেইকে (পিএসজি) ৩-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল চেলসি। ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্বকারী আরেকটি দল ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। তবে ২০২৯ সালে হতে যাওয়া পরবর্তী আসরে তিনটি দল সুযোগ পাবেন প্রতিটি দেশ থেকে। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টাইমস’। এর মধ্য দিয়ে দেশপ্রতি দুটি দলের কোটা বেধে দেওয়ার পথ থেকে সরতে যাচ্ছে ফিফা।
বিজ্ঞাপন
আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে ফিফা সর্বশেষ ক্লাব বিশ্বকাপের জন্য দল বাছাই করেছে আগের মৌসুমের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে। সেই হিসাবে বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ড, স্পেন ও ইতালির লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়া লিভারপুল, বার্সেলোনা এবং নাপোলি জায়গা হারায়। এরপরই ফিফার বিশ্বসেরা ক্লাবগুলোর প্রতিযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যেখানে অন্যতম পরাশক্তি তিন দেশের চ্যাম্পিয়নরা যুক্তরাষ্ট্রের টিকিট পায়নি। সেই সমালোচনা ও বিতর্কের ইতি টানতেই ভবিষ্যতে দল বাড়ানোর ইঙ্গিত দেয়।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
এদিকে, বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ এই অভিভাবক সংস্থা যখন ৪৮ দলের আসর আয়োজনের কথা ভাবছে, তাদের বিবেচনায় রাখতে হবে উয়েফার অসন্তুষ্টির কথাও। তারা এর আগে চার বছরের বদলে দুই বছর পরপর ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিল। যা পরে চার বছরেই স্থির হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) ফিফার কাউন্সিল সভা রয়েছে, যদিও সেখানে পরবর্তী ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন ও প্রতিযোগী বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে উল্লেখ করেছে দ্য টাইমস।
দল বাড়ানো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার আগে ফিফার সহ-সভাপতি ভিক্টর মন্টাগ্লিয়ানি জানিয়েছেন, ‘এটি অনেকটা প্রথম অভিজ্ঞতার পর যেকোনো কাজের শুরুতেই আপনার পর্যাপ্ত লোক আছে কি না– এই প্রশ্ন করার মতো। আপনার কাছে সে সঠিক পণ্য আছে? ইউরোপে আমাদের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করতে হবে, (ক্লাব বিশ্বকাপের) নতুন ফরম্যাটটি ঠিক আছে কি না। আমাদের আরও ক্লাব বাড়ানো দরকার কি না কিংবা ক্লাবের মাঝে ভিন্নতা আনা, ক্লাব বাছাইয়ের ধরন নিয়ে আলোচনা করতে হবে।’
এএইচএস