মহিলা এশিয়া কাপ ফুটবলের বাছাইয়ে বাংলাদেশ জর্ডান ও ইরানের গ্রুপে পড়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সদর দপ্তরে ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ দল এশিয়া কাপ বাছাইয়ে অংশ নিচ্ছে। চারটি গ্রুপে চারটি করে দল, অন্য চার গ্রুপে তিনটি করে দল। আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল এশিয়া কাপে খেলার সুযোগ পাবে।
 
এশিয়ার নারী ফুটবলের পরাশক্তিদের সঙ্গে দেশের মাটিতেই খেলার সুযোগ পাচ্ছেন সাবিনা-কৃষ্ণারা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের মহিলা উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ স্বাগতিক হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন আমাদের জানিয়েছে, বাংলাদেশ নিজেদের গ্রুপের বাছাইয়ে স্বাগতিক।’
  
১২-২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হবে বাছাইয়ের গ্রুপের ম্যাচগুলো। তিন দলের গ্রুপ পড়ায় সর্বমোট ম্যাচ তিনটি। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ এএফসির সঙ্গে আলোচনা করে সুবিধাজনক সময়ে সূচি নির্ধারণ করবে। 

বাংলাদেশের স্বাগতিক হওয়া নিশ্চিত হলেও ভেন্যু নিয়ে খানিকটা জটিলতা রয়েছে। আগস্টের পর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম পাচ্ছে না বাফুফে। সেক্ষেত্রে সেপ্টেম্বরে অন্য ভেন্যুতে খেলতে হবে। 

এই প্রসঙ্গে বাফুফের মহিলা উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সেপ্টেম্বরে সম্ভব না হলে অন্য ভেন্যুতে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে তো সিলেট ছাড়া আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের তেমন বিকল্পও নেই। ঢাকা থেকে সিলেটে ভেন্যু স্থানান্তর হলে আবার এএফসির অনুমতি নিতে হবে।’

বাংলাদেশের গ্রুপে দুইটি দলই অত্যন্ত শক্তিশালী। বাংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন গ্রুপিং সম্পর্কে বলেন, ‘আমাদের সিনিয়র জাতীয় দল অনেক দিন খেলার বাইরে ছিল। পুনরায় আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিরছি এটা ইতিবাচক দিক। দুইটি দল শক্তিশালী। আমরা চেষ্টা করব ভালো খেলার ও প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার।’ 

এই আট দলের সঙ্গে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং তৃতীয় স্থান অধিকারী চীন সরাসরি খেলার সুযোগ পাচ্ছে। ভারত স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি খেলবে। আগামী বছর জানুয়ারি ২০ থেকে ফেব্রুয়ারি ৬ পর্যন্ত ১২ দল নিয়ে হবে এশিয়া কাপের মূল আসর।

এজেড/এমএইচ/এটি