বাফুফের লুকোচুরি, সত্যটা আসলে কী?
১ জুলাই থেকে দেশজুড়ে চলছে কঠোর লকডাউন। সেই কঠোর লকডাউনের মধ্যে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ চলমান রাখার ফিকশ্চার দিয়েছিল। ১ জুলাই ঢাকা আবাহনী ও চট্টগ্রাম আবাহনী ম্যাচ চলার পর মধ্যে রাতে বৃষ্টি ও মাঠ খারাপের জন্য প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়নশিপ স্থগিত রাখে। টানা বৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠ খেলার অনুপোযুক্ত ছিল। কমলাপুর স্টেডিয়ামে টার্ফে চ্যাম্পিয়নশীপ লিগে কোন সমস্যা ছিল না বৃষ্টি হলেও। বাফুফে সেটিও বন্ধ রেখেছে বৃষ্টি ও মাঠের অবস্থার প্রেক্ষিতে।
আসল ঘটনা হচ্ছে, বাফুফে ১ জুলাই মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে ফিরতি চিঠি পেয়েছে। বাফুফে লকডাউনের মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় খেলা পরিচালনার অনুমতি চেয়েছিল। মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ ১ জুলাই ফিরতি চিঠিতে চলমান লকডাউনের মধ্যে খেলা চালানো সমীচীন নয় বলে জানায়। এর পাশাপাশি বাফুফেকে খেলা না চালানোর জন্য অনুরোধ করে।
বিজ্ঞাপন
বাফুফে সরকারের এই অনুরোধের প্রেক্ষিতেই লিগ স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে। সেই বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের অবহিত না করে অন্য বিষয়টি সামনে এনেছে। এই লুকোচুরির ফলে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার উপর সংশ্লিষ্টদের আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারের একটি চিঠির প্রেক্ষিতে বাফুফে সংশ্লিষ্টদের এভাবে অবহিত করেছে, ফিফা-এএফসির বিষয়গুলো বাফুফে প্রকৃতভাবে উপস্থাপন করে কিনা সেই বিষয়ে অবিশ্বাস তৈরি হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের৷
বাফুফে বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে লকডাউনের প্রথম দিন ম্যাচ পরিচালনা করেছিল। ২৯ জুন বাফুফে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মন্ত্রীপরিষদ সচিবের সঙ্গে দেখা করে খেলা চালানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন৷ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ৫ আগস্টের পর সংস্কার কাজ হবে, আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহে বসুন্ধরা কিংসের এএফসি কাপ। সব কিছু মিলিয়ে আগস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে খেলা শেষ করতে চেয়েছিল বাফুফে।
১ জুলাই মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের দেয়া চিঠিতে ১৪ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন বর্ধিত হওয়ার সম্ভাবনা বিষয়টিও উল্লেখ আছে। পাশাপাশি লকডাউন উঠে যাওয়ার পর খেলা পরিচালনার অনুরোধ ও পরামর্শ রয়েছে সেই চিঠিতে।
বিজ্ঞাপন
হঠাৎ স্থগিত হওয়ায় বিশেষ করে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের ক্লাবগুলো বেশি সংকটে পড়েছে। প্রিমিয়ারের ক্লাবগুলো খেলার অপেক্ষায়। তারা প্রতিনিয়ত ফেডারেশনকে জিজ্ঞেস করছে কবে নাগাদ খেলা, বাফুফের উত্তর খুব শীঘ্রই। গার্মেন্টস ও ব্যাংক সীমিত আকারে খোলা রয়েছে। বাফুফে কোভিড পরীক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই খেলা পরিচালনা করে আসছিল। বাফুফে পুনরায় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে খেলা পরিচালনার চেষ্টা করছে।
এজেড/এটি/এনইউ