একদিকে মেসির শিরোপা উল্লাস, অন্যদিকে নেইমারের কান্না। ফাইনাল শেষ হলেও রয়েছে এর রেশ। ফুটবল বিশ্লেষকরা হার-জিতের বিশ্লেষণ করছেন। 

বাংলাদেশের অন্যতম ফুটবল বিশ্লেষক ও কোচ মারুফুল হক আর্জেন্টিনার ট্যাকটিসের কাছে ব্রাজিলের হার বলে মনে করেন, ‘তিতে একটা কৌশল নিয়েছিল। কিন্তু স্কোলানি ডি মারিয়াকে একাদশে খেলিয়ে ও মেসি ডি মারিয়ার রোলের মধ্যে পরিবর্তন এনেছে।’

মেসিকে ক্যাসিমেরো ভালোই ট্যাকল করতে পারলেও ডি মারিয়া কাজের কাজ করেছেন। এখানেই আর্জেন্টিনার কৌশলের সাফল্য দেখছেন মারুফ, ‘মেসিকে আটকানোয় বেশি স্পেস পাচ্ছিলেন ডি মারিয়া। আর্জেন্টিনার এটাই কৌশল ছিল মেসিকে সামলাতে গিয়ে বাড়তি সুযোগ পাবে মারিয়া। শেষ পর্যন্ত ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ফাদে পা দিয়েছে।’

ডি মারিয়া জয়সূচক গোল করলেও ব্রাজিলের রক্ষণের ভুলই বড় করে দেখছেন আরেক বিশ্লেষক সাইফুল বারী টিটু, ‘ফাইনালের মতো এত বড় পর্যায়ে এমন ভুল মোটেও প্রত্যাশিত নয়। সেই ভুলের খেসারত ব্রাজিল দিয়েছে। ডি মারিয়া নিঃসন্দেহে ভালো ফিনিশিং করেছে।’

প্রথমার্ধের দেয়া লিড ভালোভাবে ধরে রাখে আর্জেন্টিনা। এটাকে কৌশল হিসেবে দেখছেন আরেক কোচ জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু, ‘এক গোল দিয়ে আর্জেন্টিনা রক্ষণে যাবে এটাই তাদের পরিকল্পনা ছিল। সেই পরিকল্পনা সফল হয়েছে।’

আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ম্যাচ ছাপিয়ে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে অসংখ্য ফাউল। এত ফাউলে বিরক্ত বাংলাদেশের ফুটবল বিশ্লেষকরা, ‘মাত্রাতিরিক্ত ফাউল হয়েছে। তিন মিনিট থেকে ফাউল শুরু। একপর্যায়ে নেইমারের প্যান্টও ছিড়ল।’

সামগ্রিকভাবে তিন বিশ্লেষকই মনে করেন এই ধারায় আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল চলতে থাকলে বিশ্বকাপের মতো আসরে সাফল্য পাওয়া খুবই কঠিন হবে। 

এজেড/এটি/টিআইএস