বাংলাদেশের ফুটবলে গত কয়েক বছর যাবৎ ইংলিশ কোচিং স্টাফ কাজ করছেন। জাতীয় দল ব্রিটিশ কোচের অধীনে তিন বছরের বেশি সময়। ফুটবল ফেডারেশনের টেকনিক্যাল ডিরেক্টরও একই দেশের। বাংলা দেশের অন্যতম শীর্ষ ক্লাব সাইফ স্পোর্টিংয়ের কোচ স্টুয়ার্ট হলও ব্রিটিশ। 

বাংলাদেশে কাজ করা ব্রিটিশদের মধ্যে ইংলিশ কোচ সাউথগেটের সঙ্গে সম্পর্ক ও যোগাযোগ রয়েছে বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি ও স্টুয়ার্ট হলের। পলের সঙ্গে বেশ অনেক দিন থেকেই যোগাযোগ। সাই কোচের সঙ্গে এখন যোগাযোগ তেমন না থাকলেও মাঝে কয়েক বছর তারা খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। হলের সঙ্গে সাউথগেটের সহকারী কোচেরও চেনা-পরিচয় রয়েছে।

ইংল্যান্ড ৫৫ বছর পর ট্রফি হাতছাড়া করল। যেই ইংল্যান্ডকে ফাইনালে তুলে বাহবা পেয়েছিলেন সাবেক জাতীয় ফুটবলার সাউথগেট। অতিরিক্ত সময়ে তার খেলোয়াড় পরিবর্তন নিয়ে হচ্ছে এখন তুমুল সমালোচনা। অতিরিক্ত সময়ের ফুটবলাররা টাইব্রেকার মিস করলেও সাউথগেটের পক্ষেই থাকছেন সাইফ স্পোর্টিংয়ের বৃটিশ কোচ স্টুয়ার্ট হল।

তিনি বলেন, ‘ফুটবলে টাইব্রেকারে মিস হতেই পারে। রাশফোর্ড, সাকা এরা ক্লাব পর্যায়ে দুর্দান্ত পেনাল্টি নেয়। এজন্যই সাউথগেট তাদের নামিয়েছে। সাউথগেট অ-২১ দলেরও কোচ ছিল। সে এই ফুটবলারদের খুব ভালোভাবেই চেনে। টাইব্রেকারে সফল হলে আর এই কথা হতো না।’
 
সাউথগেটের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরলেন এভাবে, ‘আমি ইংলিশ এফএতে কাজ করেছি। সাউথগেট ২০০৬ সালে কোচিং কোর্স করে। সেই কোর্সের দায়িত্বে ছিলাম আমি।’ সাউথগেটের কোচিংয়ে ইংল্যান্ড গত বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের পর এবার ইউরোর রানার্স আপ। 

হল বিশ্বাস করেন তার শিষ্যের হাত ধরেই ইংলিশদের শিরোপা খরা কাটবে, ‘আমাদের দলটি এখনো তরুণ। পরবর্তী বিশ্বকাপ আরও দেড় বছর পর। তখন তারা আরও একটু অভিজ্ঞ হবে। পরের বিশ্বকাপে সাউথগেটের অধীনে আমাদের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি অনেক।’

ইংল্যান্ডের অনেক বড় ফুটবল ব্যক্তিত্ব ১৯৬৬ ও ২০২১ ফুটবল ফাইনাল দেখতে পারেননি। ’৬৬ দেখা অনেকে দুনিয়া ত্যাগ করেছেন। আবার এখানকার অনেকে জন্মও নেননি ১৯৬৬ সালে। সেই দিক থেকে স্টুয়ার্ট হল নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন, ‘ইংলিশ ফুটবলের বড় দুই ফাইনালই দেখার সৌভাগ্য হলো। ১৯৬৬ সালে আমি তখন মাত্র দশ বছর। বাসার সোফায় বাবা ও ভাইয়ের সাথে খেলা দেখছিলাম। তারা আমাকে বিভিন্ন বিষয় বোঝাচ্ছিল। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাবা ও ভাই অনেক ড্রিংক করছিল। আমি বাচ্চা ছিলাম শুধু জুস খেয়েছি তখন (হাসি)।’

শিষ্য সাউথগেটের কাছে নিজের কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করলেন অকপটে, ‘সেন্ট ভিনসেন্টে আমি কোচের জন্য আবেদন করেছিলাম। সেই ফেডারেশন আমার ব্যাপারে সাউথগেটের কাছে জিজ্ঞেস করেছিল। ওর সুপারিশেই মূলত আমি দায়িত্ব পাই।’
 
এটি ২০০৯ সালের ঘটনা। এরপর অবশ্য দুই জনের মধ্যে তেমন যোগাযোগ নেই। সাউথগেট ইংলিশ ফুটবলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন দিনে দিনে আর স্টুয়ার্ট হল এদেশ ওদেশ ঘুরে কোচিং করাচ্ছেন। 

এজেড/এমএইচ/এটি