বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েও প্রিমিয়ার লিগে খেলেনি ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব। দেশের ফুটবলের জনপ্রিয়তা ও মানে কিছুটা কমতি থাকলেও প্রিমিয়ার লিগের তলানির ক্লাবগুলোকে গুণতে হয় ন্যূনতম কোটি টাকার বেশি। ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স আর্থিক অসামর্থ্যতা ও সাংগঠনিক অদক্ষতার জন্য প্রিমিয়ার খেলেনি। 

গতকাল (রোববার) স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের প্রিমিয়ারে খেলা নিশ্চিত হয়েছে। প্রিমিয়ার নিশ্চিত হওয়ার পরই ফুটবলাঙ্গনে প্রথম জিজ্ঞাসা, প্রিমিয়ার লিগ খেলবে তো স্বাধীনতা? ক্লাবটির ম্যানেজার আতাউর রহমান সাবেক জাতীয় ফুটবলার। তিনি খেলার ব্যাপারে পূর্ণ আশাবাদ ব্যক্ত করলেন, ‘আমরা অবশ্যই প্রিমিয়ার লিগ খেলব। ঈদের পর ক্লাবের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করবে।’

স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ ঘরোয়া ফুটবলে খুব বেশি পুরনো ক্রীড়া সংগঠন নয়। ২০১০ পরবর্তী সময়ে এই ক্লাবের জন্ম। আট বছরের মধ্যে তারা ফুটবলের বিভিন্ন স্তর পেরিয়ে এখন প্রিমিয়ার লিগ খেলার অপেক্ষায়। ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক টুলু প্রিমিয়ারে খেলার ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চয়তা দিলেন, ‘আমাদের ক্লাবটি ধীরে ধীরে এই জায়গায় এসেছে। যে কোনো মূল্যে আমরা প্রিমিয়ারে খেলব।’ 

ক্লাবটির আর্থিক ও সাংগঠনিক কাঠামো সম্পর্কে সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের ক্লাবে অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছে। সারা বাংলাদেশেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। সাবেক ফুটবলার থেকে শুরু করে অনেক ফুটবল অনুরাগীও আছেন। তাদের সকলের সম্মিলিত সাহায্যে আমরা প্রিমিয়ারে দল গড়ব।’ 

প্রিমিয়ারে চার বিদেশি দলে ভেড়াতে ও কোনো মতো অবনমন ঠেকাতে হলেও দুই-তিন কোটি টাকার বাজেট প্রয়োজন। আসন্ন দলবদল নিয়ে সাধারণ সম্পাদকের পরিকল্পনা, ‘ঈদের পর লকডাউন উঠে গেলে আমরা একটি সভা করব। সেই সভায় মূলত চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে ভালো খেলাদের মধ্যে অনেককে রাখার চেষ্টা করব। এমনিতেই দশ জনের বাইন্ডিংস রয়েছে। এছাড়া মোটামুটি মানের বিদেশি নিয়ে মাঝারি মানের দল গড়ব।’ 

স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ ক্লাবটি রাজধানীর খিলগাও তালতলা মার্কেটের পাশে অবস্থিত। ক্লাবটির তেমন কোনো অবকাঠামো নেই। একটি ছোট্ট অফিস কক্ষে চলে প্রশাসনিক কার্যক্রম। ফুটবলারদের ক্যাম্প হয় অন্যত্র। এরপরও নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আট বছরের মধ্যে ক্লাবটি পাইওনিয়ার থেকে প্রিমিয়ারের পথে। পাইওনিয়ার থেকে তৃতীয় ও দ্বিতীয় বিভাগে উঠেছিল ক্লাবটি। তৃতীয় ও দ্বিতীয় বিভাগে এক বছরের বেশি খেলা লাগেনি ক্লাবটির। সিনিয়র ডিভিশন ও চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে দুই বছর করে খেলতে হয়েছে।

ক্লাবের ধারাবাহিক এই উন্নতির কারণ হিসেবে সাধারণ সম্পাদক মনে করেন, ‘আমাদের ক্লাবের মধ্যে একতা রয়েছে। যা অন্য অনেক ক্লাব থেকে আমাদের স্বাতন্ত্র্য করে রেখেছে।’ দেখা যাক এই একতার মাধ্যমে প্রিমিয়ারে কেমন দল গড়ে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। 

এজেড/এটি