মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কোরবানির জন্য ক্রয়কৃত গরু

আর কয়েক ঘন্টা পরেই ঈদুল আযহা। এবারের ঈদুল আযহা অনেক ফুটবলারকে ক্লাবেই পালন করতে হচ্ছে। আগামী ২৪ জুলাই থেকে ঈদের পর লিগ শুরুর পরিকল্পনা। ২৩ জুলাই থেকে লকডাউন, এ জন্য এবারের কোরবানির ঈদ ক্লাবেই উদযাপন করবেন প্রায় সব ফুটবলাররা। 

দেশি ও বিদেশি ফুটবলারদের জন্য কোরবানির ব্যবস্থা করেছে অনেক ক্লাব। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনেছে ফুটবলারের জন্য। প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ দল বসুন্ধরা কিংসও প্রায় লাখ টাকায় গরু কিনেছে ক্লাবে থাকা ফুটবলারদের জন্য। 

সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের সামনের রাউন্ডে খেলা নেই। সাইফের ফুটবলারদের যাদের ঢাকায় বাসা রয়েছে, তারা বাসায় পরিবারের সঙ্গে কোরবানি দেবেন। বিদেশি ফুটবলার ও যারা ক্যাম্পে থাকবেন, তাদের জন্য ছাগল কোরবানির ব্যবস্থা করেছে ক্লাব।

মোহামেডান ক্লাবের অধিনায়ক জাপানি উরু নাগাতা চলে গেছেন। বাকি যারা বিদেশি আছেন সবাই মুসলমান। ক্যামেরুনের ফুটবলার ইয়াসেন ক্লাবের কোরবানির ব্যবস্থায় খুব খুশি, ‘রোজার ঈদে আমরা শুধু বিদেশিরা ক্লাবে ছিলাম। এবার অনেকে থাকবে। বাংলাদেশে দুই ঈদ উদযাপনের অভিজ্ঞতা হচ্ছে।’ 

ক্লাবের জার্সি ও পতাকার সঙ্গে মিল রেখে কোরবানির গরু কিনেছে ফুটবল কমিটির কর্মকর্তারা। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ফুটবল দলনেতা আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স বলেন, ‘অনেক ফুটবলার বাড়িতে যেতে চেয়েছিল। ফেডারেশন থেকে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা না থাকায় আমরা ছুটি দেইনি। ক্লাবে ফুটবলারদের এজন্য সাদা-কালো রংয়ের গরু কেনা হয়েছে।’ 

রহমতগঞ্জ ক্লাবের মাঠেই বসেছে গরুর হাট। নিজেদের মাঠে হাট বসলেও ফুটবল দলের জন্য কোরবানির ব্যবস্থা আছে কিনা এই প্রসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ সবুজ বলেন, ‘আমাদের ক্লাবের এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এখনো সময় আছে ও আমাদের মাঠেই হাট আছে, সমস্যা হবে না।’ 

ব্রাদার্স ইউনিয়ন মাঠে এবার হাট বসেনি। তারাও এখনো ক্লাবে ফুটবলারের জন্য কোরবানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি। 

এজেড/টিআইএস