সাফ ফুটবলের স্বাগতিক ছিল বাংলাদেশ। ৩০ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ এই টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা ছিল। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ২০ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের নাম স্বাগতিক হিসেবে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। বাংলাদেশের চলমান করোনা পরিস্থিতি, ভেন্যু সংকটসহ সামগ্রিক বিষয় বিবেচনায় বাফুফের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত। 

টুর্নামেন্ট শুরুর মাত্র ১ মাস আগে বাংলাদেশের স্বাগতিক প্রত্যাহার বড় অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলেছে টুর্নামেন্টকে। নেপাল টুর্নামেন্ট আয়োজনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ নিয়ে ইতোমধ্যে কাজও শুরু করেছে। নেপাল স্বাগতিক হতে রাজি হলেও মূল বাধা স্পন্সর ও আর্থিক সংকট। সাফের বিগত আসরগুলোর পৃষ্ঠপোষক ছিল লাগাডিয়ার স্পোর্টস। ফরাসি কোম্পানির সাফের সাথে চুক্তি নবায়ন না করায় সংকটে পড়ে সাফ। গত এক বছরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য কোনো স্পন্সর খুঁজে পায়নি সাফ৷ 

নেপাল স্বাগতিক হওয়ার আগ্রহের পাশাপাশি স্পন্সরও খুঁজছে। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে সব কিছু পাওয়া কঠিনই। তাই আসন্ন সাফ বড় অনিশ্চয়তার মধ্যে। 

আগামীকাল (শুক্রবার) সাফের সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে এক সভা রয়েছে। সেই সভায় আসন্ন সাফের ভাগ্য নির্ধারিত হতে পারে, 'সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে সভায় করোনা পরিস্থিতির পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাগতিক প্রত্যাহার, নেপালের আগ্রহ সহ সামগ্রিক বিষয়ে সকলের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।' -বলেন সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল। 

বাংলাদেশ ও ভারতে করোনা পরিস্থিতি ঊর্ধ্বগতি, স্পন্সর সংকটে সাফ না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। গত বছর বাংলাদেশে হওয়ার কথা ছিল সাফ। করোনার জন্য গত বছর সাফ স্থগিত হয়। এই বছরও করোনা বড় বাধা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। 

এজেড/এটি/টিআইএস