কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন ১ জুলাই বাফুফে ম্যাচ চালিয়েছিল। ওই দিন রাত ১টার পর মাঠ অনুপযুক্ত ও আবহাওয়ার কারণ দেখিয়ে লিগ স্থগিত করেছিল বাফুফে। শনিবার (২৪ জুলাই) থেকে শুরু হওয়ার কথা লিগ স্থগিতের সিদ্ধান্ত আসল শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাত ১০টার পর। 

ঈদের পর শনিবার থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। দুটি ম্যাচ (উত্তর বারিধারা বনাম চট্টগ্রাম আবাহনী, ব্রাদার্স ইউনিয়ন বনাম রহমতগঞ্জ) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। চারটি ক্লাবই ম্যাচ খেলার জন্য প্রস্তুত ছিল। শুক্রবার রাতে বাফুফে হঠাৎ লিগ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। শনিবারের পরিবর্তে ৩০ জুলাই থেকে লিগ শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেডারেশন। 

চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যানেজার আরমান আজিজ নিজেও জাতীয় দলের ফুটবলার ছিলেন। ফেডারেশনের আকস্মিক এই সিদ্ধান্তে বলেন, ‌‘খেলার আগের দিন ফুটবলারদের ডায়েট থেকে শুরু করে সব কিছু ভিন্ন থাকে অন্য দিনের তুলনায়। মানসিক প্রস্তুতিও থাকে ভিন্ন রকমের। খেলা না হওয়া এবং পিছিয়ে যাওয়া ফুটবলারদের জন্য বড় ধাক্কা।’

ঈদের পর লকডাউনের মধ্যেও খেলা চলবে ক্লাবগুলোকে এই আশ্বাস দিয়েছিল। ইতোমধ্যে ফিকচারও দিয়েছে ফেডারেশন। এজন্য প্রায় সব ক্লাব ক্যাম্প চালিয়ে গেছে। ফুটবলাররা পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত খেলা এক সপ্তাহ পিছিয়ে গেল।

২৩ জুলাই থেকে আবারও কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। এরপরেও বাফুফে ক্লাবগুলোকে খেলা চালানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আগের দিন খেলা স্থগিত করতে বাধ্য হলো। আগেরবার মাঠ অনুপোযুক্ত ও বৈরি আবহাওয়ার কথা বললেও মূলত খেলা বন্ধ হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের চিঠিতে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে বাফুফেকে খেলা লকডাউনের পরে আয়োজনের অনুরোধ জানায়। এরই প্রেক্ষিতে ১৩ জুলাই পর্যন্ত খেলা বন্ধ ছিল। ১৪ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত খেলা পরিচালনা করে বাফুফে। ২৪ জুলাই থেকে খেলা পরিচালনা করতে পারছে না। ২৩ জুলাই রাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেডারেশন। 

বাফুফের আকস্মিক এই সিদ্ধান্তে খুব ক্ষুব্ধ মোহামেডানের ফুটবল কমিটির সম্পাদক আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স, ‘খেলা চালাতে সমস্যা হলে আমাদের আগে জানাতে পারত। সেই হিসেবে আমরা মানসিক ও সাংগঠনিক প্রস্তুতি নিতাম। এভাবে শেষ মুহূর্তে খেলা পেছানোয় ক্লাবের খরচ বাড়ছে অনেক। যা অনেক ক্লাবের পক্ষে বহন করা কষ্টসাধ্য।’ 

করোনা পরিস্থিতি, লকডাউনে খেলা পরিচালনা খুব কষ্টসাধ্য। বাফুফে ও লিগ কমিটি খেলা দ্রুত শেষ করার প্রাণান্ত চেষ্টা করলেও তাদের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে যে অদূরদর্শিতা সেটা এই কর্মকাণ্ডগুলোই বড় উদাহরণ।

এজেড/এমএইচ/ওএফ