অস্ট্রেলিয়া ফুটবল ও ক্রিকেট দলকে নিয়ে বেশ ঝক্কি পোহাতে হয় স্বাগতিক দেশগুলোকে। স্বাভাবিক সময়েই অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফর করলে নানা শর্ত দেয়। সেই তারাই এবার করোনার মধ্যে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশে আসছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তাদের জন্য সকল প্রকার নিরাপত্তা ও শর্ত পূরণ করেছে। অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ করোনার এই সময়ে বাংলাদেশে আসতে পারলেও বাফুফে করোনার জন্য সাফের স্বাগতিক হিসেবে নিজেদের প্রত্যাহার করেছে। 

অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সিরিজ আয়োজন করতে যাচ্ছে। তাহলে ফুটবল ফেডারেশন কেন করোনায় সাফ আয়োজক থেকে সরে গেল? এমন প্রশ্নের উত্তরে বাফুফে ও সাফ সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘ক্রিকেট ও ফুটবলের সাথে তুলনা করব না। একেক সময় প্রেক্ষাপট। এবার অস্ট্রেলিয়া আসছে। আগে একবার আসেনি, তখন আবার কিন্তু ফুটবলে এসেছিল। ফলে একটার সাথে আরেকটি তুলনা ঠিক হবে না।’ ২০১৫ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে অনেক বাহানা করলেও অস্ট্রেলিয়া শেষ পর্যন্ত ৪৮ ঘন্টারও কম সময়ের জন্য এসেছিল। 

সাফের দেশগুলোর সামগ্রিক অবস্থা বাংলাদেশের কাছাকাছি হলেও বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ অন্য চ্যালেঞ্জ দেখছেন , ‘সাফ আয়োজন করতে হলে পাঁচটি দেশকে বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থায় রাখতে হবে। সেটা করোনার সময় বেশ চ্যালেঞ্জিংই।’

বাফুফে আনুষ্ঠানিকভাবে করোনার কারণ দেখিয়ে সাফের স্বাগতিক থেকে নিজেদের সরিয়েছে। সাফের সাধারণ সম্পাদকদের সভায় সকল দেশেই খেলার ব্যাপারে অত্যন্ত আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং যেকোনো দেশে তারা খেলতে চেয়েছিল। এই প্রসঙ্গে সালাউদ্দিন বসুন্ধরা কিংসের এএফসি কাপের স্বাগতিক হতে না পারার বিষয়টি টেনে বলেন, ‘আমরা এখনো লকডাউনের মধ্যে আছি। ভারত সাফের অন্যতম দেশ। কয়েকদিন আগে ভারতের দুই ক্লাব বাংলাদেশের এসে খেলার বিষয়ে সেভাবে অনুমতি পাওয়া যায়নি। ভারত, ভিসা, কোয়ারেন্টাইন অনেক ইস্যু জড়িত।

করোনা ইস্যু হলেও সাফের স্পন্সর সংকট আরেকটি বিষয়। স্পন্সরের সংকটও বিশেষ কারণ বাংলাদেশ থেকে ভেন্যু চলে যাওয়া। এটি অবশ্য সাফ সভাপতি স্বীকার করেননি, ‘স্পন্সর কোনো সমস্যা ছিল না।’ যদিও তিনিই কয়েকদিন আগে স্পন্সর সংকটের কথা বলেছিলেন। 

৩০ আগস্টের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ পিছিয়ে এখন অক্টোবরে প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে সাফের নির্বাহী সভার পর ভেন্যু ঠিক হবে। আগামীকাল অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি টোয়েন্টি ক্রিকেট সিরিজ খেলতে আসছে।

সেপ্টেম্বরে সাফ না হওয়ায় ওই সময়ের ফিফা উইন্ডো সাফ ও এশিয়া কাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতিতে কাজে লাগাতে চান বাফুফে সভাপতি, ‘জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান তিন মাস দেশের বাইরে। টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ও অন্যান্যদের সঙ্গে আলোচনা হয় আমার সবসময়। কোচ জেমির সঙ্গে পরিকল্পনা করে বিষয়গুলো চুড়ান্ত হবে শিগগিরই।’ 

এজেড/