এএফসির পরীক্ষায় জয়া-সালমা
ফিফা রেফারি জয়া চাকমা ও সহকারি রেফারি সালমা ইসলাম মনি এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের রেফারি রিক্রুটিং কোর্সে অংশগ্রহণ করছেন। গতকাল ভার্চুয়ালি এই কোর্স শুরু হয়েছে। তিন দিন ব্যাপী চলা এই কোর্সে সফলভাবে উত্তীর্ণ হতে পারলে জয়া ও সালমা এএফসির নারী ফুটবলে ম্যাচগুলো পরিচালনা করতে পারবেন।
প্রথম নারী হিসেবে ফিফা রেফারি হয়েছেন জয়া চাকমা। সালমা সহকারি হিসেবে জয়ার সঙ্গে ফিফা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও বয়সের জন্য ফিফার ব্যাজ পেয়েছেন এক বছর পর। করোনার জন্য গত বছর খেলাধুলা সেভাবে হয়নি। এবার জয়া এবং সালমার এএফসির তালিকাভুক্ত হওয়ার আশা করছেন হেড অফ রেফারিজ আজাদ রহমান।
তিনি বলেন, ‘তারা দুইজনই বাংলাদেশের খুব সম্ভাবনাময় ও প্রতিশ্রুতিশীল রেফারি। এএফসির এই কোর্সে তাদের তাত্ত্বিক পরীক্ষার পাশাপাশি, ভিডিও অ্যানালাইসিসসহ আরও অনেক পরীক্ষা হবে। সকল পরীক্ষা শেষে এএফসি তাদের মূল্যায়ন করবে। চূড়ান্তভাবে মনোনীত হলে এএফসি নারী ফুটবলের ম্যাচগুলো পরিচালনা করতে পারবে তারা।’
বিজ্ঞাপন
আগামীকাল (শুক্রবার) কোর্স শেষ হলেও পরীক্ষার ফলাফল পেতে কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে জয়া ও সালমাকে। রেফারি জয়া এই পরীক্ষায় উতরাতে পারলে সহকারি হিসেবে সালমারও সম্ভাবনা থাকবে। আর সহকারি রেফারি সালমা পাশ করলে জয়ার বাঁশি বাজাতে পারবেন না।
সাধারণত এই পরীক্ষা ব্যবহারিক হলেও করোনার জন্য এবার তাত্ত্বিক হচ্ছে। কোর্সে উত্তীর্ণ হতে পারলে এএফসি’র নারী ফুটবলের বয়স ভিত্তিক ম্যাচগুলো তারা পরিচালনা করতে পারবেন। ২০১৪ সালে অবশ্য জয়া এএফসি অ-১৪ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে বাঁশি বাজিয়েছেন। নারীদের বড় টুর্নামেন্টগুলো পরিচালনা করতে হলে এলিট প্যানেলে থাকতে হয়। বাংলাদেশে এক সময় রেফারি-সহকারি মিলিয়ে চারজনও ছিলেন এএফসির এলিটে। সেই সোনালী দিন এখন আর নেই।
তৈয়ব হাসানের পর থেকে বাংলাদেশের আর কোনো রেফারি এএফসি এলিটে প্রবেশ করতে পারেননি। ২০১৭ সাল থেকে এএফসি এলিটে রয়েছেন সহকারী রেফারি মনির ঢালী। তিনি এশিয়ার শীর্ষ পর্যায়ের ম্যাচে লাইনে পতাকা নিয়ে দাড়ান।
বিজ্ঞাপন
এএফসি এলিটে রেফারির পরীক্ষায় গত কয়েক বছর উত্তীর্ণ হতে পারেননি কেউ। পরীক্ষা ছাড়াও একাডেমির মাধ্যমেও এলিট প্যানেলে ভুক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এএফসি রেফারিজ একাডেমীতে রয়েছেন বিটুরাজ বড়ুয়া ও আলমগীর। চার বছরের কোর্সে এবার তাদের শেষ বছর।
তাদের সম্ভাবনা সম্পর্কে হেড অফ রেফারিজ ও সাবেক ফিফা রেফারি আজাদ রহমান বলেন, ‘তাদের পারফরম্যান্সে এএফসি সন্তুষ্ট হলে এলিট প্যানেলে যুক্ত হতে পারবে। তখন এএফসির শীর্ষ প্রতিযোগিতার জন্য তারা বিবেচিত হবেন।’
বাংলাদেশের রেফারিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এশিয়ান ফুটবলের ক্লাব ও জাতীয় দলের বেশি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তৈয়ব হাসান। ২০১৩ সালে নেপালের কাঠমান্ডুতে সাফ ফাইনাল পরিচালনা করেছিলেন তিনি। সাবেক ফিফা রেফারি মাহবুব ফিফা অ-১৭ বিশ্বকাপে রেফারিং করেছেন। দুই নারী রেফারি এএফসিতে কোর্স উতরাতে পারলে বাংলাদেশের রেফারির নতুন দিগন্তের সৃষ্টি হবে।
এজেড/এমএইচ