ঘরোয়া ফুটবলে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয় আরামবাগ। স্পট ফিক্সিং আর পাতানো ম্যাচে জড়িত থাকায় আরামবাগের চার কর্মকর্তাকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি কয়েকজন ফুটবলার তিন বছরের ও দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন। সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও বাফুফে নির্বাহী সদস্য আরিফ হোসেন মুন আরামবাগের তরুণ ফুটবলারদের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন। 

মুন গত তিন মেয়াদে বাফুফে নির্বাহী কমিটিতে রয়েছেন। তিনি তার নিজ জেলা নীলফামারীতেই বেশি সময় কাটান। নীলফামারী থেকেই আজ সোমবার মুঠোফোনে আরামবাগের বিষয়ে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে আলাপ করেছেন। 

আরামবাগ ইস্যুতে সালাউদ্দিনের সঙ্গে আলাপ প্রসঙ্গে বাফুফে সদস্য মুন বলেন, ‘অনেক তরুণ ফুটবলার রয়েছে এই নিষেধাজ্ঞায়। যারা হয়তো কর্মকর্তাদের চাপে করতে বাধ্য হয়েছেন আবার হয়তো তারা বুঝেও উঠতে পারেননি এর ভবিষ্যৎ কি হতে পারে। দুই তিন বছরের নিষেধাজ্ঞায় ফুটবলারদের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। তাই আমি বাফুফে সভাপতিকে অনুরোধ করেছি তরুণ ফুটবলারদের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য।’

পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটির প্রতিবেদন, ডিসিপ্লিনারি কমিটির সিদ্ধান্ত হয়েছে বেটিং নিয়ে। এই শাস্তির প্রক্রিয়ায় বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এখনই পদক্ষেপ নিতে পারবেন না। শাস্তির বিপরীতে আপিল করতে হবে ভুক্তভোগী ফুটবলারদের। 

অনেক ফুটবলার শাস্তি পেলেও এর মধ্যে কয়েকজন ফুটবলার তদন্ত কমিটির সামনে তারা সাক্ষ্য দেওয়ার সুযোগ পাননি। তাদের দাবি, তদন্ত কমিটি আমাদের বক্তব্য পেলে হয়তো তদন্ত প্রক্রিয়া আরও সুন্দর হতো এবং আমাদের এ রকম শাস্তি কমও হতে পারতো। 

বাফুফে সভাপতিকে অনুরোধ করলেও কিছুটা শাস্তির পক্ষেও মুন, ‘ন্যূনতম কিছুটা শাস্তি না থাকলে পরবর্তীতে অন্যরা এ পথে জড়াতে পারে। এজন্য কিছুটা হলেও প্রকৃত দোষীদের কিছুটা শাস্তি পেতেই হবে।’

শাস্তি লাঘবের পেছনে মুনের যুক্তি, ‘আরামবাগ দলে তরুণ কয়েকজন প্রতিভাবান ফুটবলার রয়েছেন। যারা জাতীয় অনুর্ধ্ব পর্যায়ে ভালো করেছেন। এদের পেছনে ফেডারেশন ও দেশের বিনিয়োগ রয়েছে। হয়তো তারা না জেনে বা বাধ্য হয়ে এই পথে জড়িয়েছিল। তাদের কিছুটা শাস্তি দিয়ে সঠিক পথে ফিরিয়ে এনে ফুটবলের সঠিক মেধা কাজে লাগানোর দায়িত্বটা আমাদেরই।’ গতকাল রোববার ডিসিপ্লিনারি কমিটি সিদ্ধান্ত প্রকাশের পর এখন পর্যন্ত আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ এবং শাস্তিপ্রাপ্ত ফুটবলাররা আপিল করেননি। 

এজেড/এটি