করোনাকালে প্রত্যেক দেশই নিজেদের সুরক্ষার বিষয়ে বেশ সতর্কতা অবলম্বন করছে। ইউরোপীয় দেশগুলো এক্ষেত্রে আছে সর্বাগ্রে। লাল তালিকাভুক্ত দেশ থেকে ইউরোপীয় দেশগুলোয় পা রাখলেই বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে আগতদের। খেলোয়াড়রাও সে নিয়মের বাইরে নন। যে কারণে আসন্ন বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের জন্য ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলোয়াড়ও ছাড়তে চায়নি। 

সে চোখরাঙানিকে উপেক্ষা করেই অবশ্য আর্জেন্টিনার হয়ে খেলতে দক্ষিণ আমেরিকায় পা রেখেছেন ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, জিওভানি লো চেলসো, আর এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়ারা। তবে সেজন্য কোয়ারেন্টাইনও মানতে হবে তাদের। সেটা হলে তাদের অনুশীলন বন্ধ হয়ে যাবে, আটকে থাকতে হবে হোটেল রুমে। সেটা যেন না করতে হয় সেজন্যেও অবশ্য একটা উপায় খুঁজে পেয়েছেন তারা।

দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ফিরে যেন কামরাবন্দি হয়ে না পড়তে হয়, সেজন্য তারা ফিরবেন এক ম্যাচ আগেই। বিষয়টা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে অ্যাস্টন ভিলা। যদিও আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ক্লাবের সঙ্গে এমন কোনো চুক্তির বলে খেলোয়াড় হারাবে না তারা। তবে তারা এটাও জানিয়েছে, শেষ ম্যাচে বলিভিয়ার বিপক্ষে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চার খেলোয়াড়কে ধরে রাখবেন না তারা।

আর অনুশীলনের সুবিধাটা যেন পাওয়া যায়, সেজন্যে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে সরাসরি ইংল্যান্ডে পা রাখবেন না তারা। ক্রোয়েশিয়ার এক দ্বীপে চলে যাবেন চার জন। সেখানে দশ দিন থাকবেন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে, অনুশীলনও চলবে তখন। এরপর ফিরবেন ইংল্যান্ডে, নিজ নিজ ক্লাবে।

ইংল্যান্ড না গিয়ে ক্রোয়েশিয়া যাওয়ার কারণ, ইংলিশদের করোনাভাইরাসজনিত জরুরী বিধিতে নেই ক্রোয়েশিয়ার নাম। আর সেই দেশে বাইরে থেকে আগতদের আইসোলেশনের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সে কারণেই ক্রোয়েশিয়াকে বেছে নেওয়া।

এনইউ