তরুণ প্রজন্মের কাছে দারুণ জনপ্রিয় ভিডিও গেমস ফিফা। প্রতি বছরই বিশ্বের নানা প্রান্তের ফুটবল ভক্তরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন ইএ স্পোর্টসের তৈরি ফিফার এই ফুটবল গেমসের জন্য। গেমসটি বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছরই মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করছে।

বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় ফুটবল গেমস ফিফা জনপ্রিয় ভিডিও গেমসগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রতি বছরই ফিফা থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করে থাকে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইএ স্পোর্টস। কিন্তু কেন ফিফার এই আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা? 

ফিফার আয়ের একটি বড় অংশ আসে গেমটির ফিফা আল্টিমেট টিম মোড থেকে। এই মোডে নিজেদের স্বতন্ত্র ফুটবল দল গঠনের জন্য বাড়তি অর্থ খরচ করে গেম কয়েন কিনে থাকেন অনেক ফিফা খেলোয়াড়। এই অর্থও বাড়তি আয় হিসেবে যোগ হয় ইএ স্পোর্টসের খাতায়। এছাড়াও প্রতি বছর গেমসটি বিক্রি করে কি পরিমাণ আয় করে থাকে তারা তা সহজেই ধারণা করা যায় ফিফা ২১ বিক্রি বাবদ তাদের আয় থেকে। 

প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক রিপোর্ট বলছে, গত বছর গেমটি রিলিজ দেয়ার পর চলতি বছর মার্চ পর্যন্ত শুধু গেমসটি বিক্রি করেই তারা আয় করেছে ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১৩ হাজার ৬২০ কোটি টাকারও বেশি। রিপোর্টটি আরও বলছে, বর্তমানে ২৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ফিফা ২১ খেলে থাকেন। ফিফা খেলোয়াড়দের উপর ইএ স্পোর্টসের করা জরিপে উঠে এসেছে আশা জাগানিয়া তথ্য। জরিপ বলছে প্রতি বছরই ১৬ শতাংশ করে ফিফা আল্টিমেট টিমের খেলোয়াড় সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এই মোড এতটাই জনপ্রিয় যে, প্রতি বছর মার্কিন এই গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের মোট আয়ের ২৯ শতাংশই আসে এই মোড থেকে। নিজেদের অফিসিয়াল রিপোর্টে তারা জানায়, ‘আমাদের সর্বাধিক জনপ্রিয় লাইভ সার্ভিস হল আমাদের ক্রীড়া ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সাথে যুক্ত আলটিমেট টিম মোডের জন্য কেনা অতিরিক্ত সামগ্রী।’ 

ইএ স্পোর্টসের এই বিশাল আয়ের নদী ফিফায় বইবে না তা কি করে হয়! ২০২০ সালে জনপ্রিয় ফুটবল গেমসগুলোর কল্যাণে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা যে পরিমাণ অর্থ আয় করে তা ছিল তাদের মাঠে ফুটবল পরিচালনা বাবদ আয়ের চেয়েও বেশি!  

ফুটবল গেমস নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে গেমস বানানোর পূর্বে নিতে হয় ফিফার লাইসেন্স। এই লাইসেন্স বিক্রি করেই গতবছর তারা আয় করেছে প্রায় ১৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যা দাঁড়ায় প্রায় তেরশো তিপ্পান্ন কোটি টাকা। 

এআইএ/এটি/টিআইএস