২০১১-১৮ এই চারটি সাফে বাংলাদেশ গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে। ২০০৯ সালে সর্বশেষ সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। এবার পাচ দলের সাফে রাউন্ড রবিন লিগ হওয়ায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের প্রত্যাশা ফাইনাল খেলার। শীর্ষ কর্তারা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। 

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে প্রথম এবং একবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ২০০৩ সালে। সেই চ্যাম্পিয়ন দলের অন্যতম সদস্য হাসান আল মামুন । ২০০৩ সাফে বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন রজনী কান্ত বর্মণ। ফাইনালে তিনি ছিলেন না। তার পরিবর্তে অধিনায়কত্ব করেছেন হাসান আল মামুন। তিনিই বাংলাদেশের ট্রফি উচিয়ে ধরেছিলেন। জামাল ভূঁইয়া কি পারবেন আপনার উত্তরসূরি হতে? 

এই প্রশ্নের উত্তরে খুব বাস্তবিক শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সহকারি কোচ হাসান আল মামুন, ‘প্রত্যাশা বা স্বপ্ন দেখাই যায় কিন্তু বাস্তবতার হিসাবটাও মেলাতে হবে। বাস্তবতা হচ্ছে আমরা মাত্র দুই সপ্তাহ আগে নতুন কোচের অধীনে এবং টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সর্বনিম্ম র‌্যাংকিংধারী হিসেবে অংশগ্রহণ করব।’ কোচের বিদায়কে একটু বড় করেই দেখছেন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ সদস্য, ‘বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। সেই টুর্নামেন্টের আগে কোচ বদল করার সিদ্ধান্ত খুব সমীচীন মনে হয়নি।’ 

রাউন্ড রবিন লিগ খেলা হওয়ায় খানিকটা আশা দেখছেন মামুন, ‘এখানে সবাই সবার সঙ্গে খেলবে। একটি ম্যাচ খারাপ করলেও রিকভার করার সুযোগ থাকবে। এটা বাংলাদেশের জন্য যেমন প্রযোজ্য তেমনি সবার জন্যই। জামালরা ভালো কিছু করবে সেই প্রত্যাশা ও শুভকামনা রইল।’

২০০৩ সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের আরেক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য স্ট্রাইকার আলফাজ আহমেদ। হাসান আল মামুনের মতো তিনিও দেশের ঘরোয়া ফুটবলে কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত। বর্তমান জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের বেশ কাছ থেকেই চেনেন। আলফাজ জামালদের সম্ভাবনা সম্পর্কে বলেন, ‘নতুন কোচের হাতে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দুই এক ম্যাচ না গেলে আসলে বলা যাবে না বাংলাদেশ ফাইনাল খেলবে কিনা। নতুন কোচ কিভাবে একাদশ সাজায় সেটা দেখার বিষয়। নতুন কোচ হওয়ায় অনেক খেলোয়াড় একাদশে নিজের জায়গা নিয়ে খানিকটা হলেও শঙ্কিত থাকবে।’

তবে দুই সাবেক তারকা ফুটবলারই এক জায়গায় একমত পোষণ করেছেন, ‘যে কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা বা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য ভাগ্যেরও সহায়তা প্রয়োজন। শুধু পারফরম্যান্স ও কৌশল দিয়েই হয় না। জামালদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হোক সেই কামনা রইল।’

এজেড/এটি